পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন ১৩০৫ । ] औडली-अ०ा । 8Գ 可羽百一 (১) আলকুষ্ঠা বসন্ত বেরাইল্য তার গায়। (২) তার বাড়ী বসন্ত পুঠিাইল্য চামদল। (৩) মৈলা যত প্ৰজালোক, • মাের্মে হৈলা পুত্রকে এৰূপ করিবার অর্থ কিছুই দেখা যায় না।

  • প্রথম পুরুষের কৰ্ত্তায় উত্তম পুরুষের ক্রিয়াপদ ব্যবহারও এ কাব্যে বিরল নহে;-“আর কি পূজিব চন্দ্ৰকেতু নৃপমণি।” এস্থলে “পূজিবে” অর্থে “পূজিব” প্ৰযুক্ত হইয়াছে।

(২) পুত্র বিনে নাহি ধন । পিণ্ড দিব কোন জন ৷ এস্থলে ‘দিবে’ অর্থে “দিব” প্রয়োগ । (৩) তোমা বিনে কেবা রাজা। অনাথ হইব প্ৰজা ॥৯ এস্থলে হইবে।” অর্থে “হইব” প্রয়োগ। বস্তুবাচক শব্দের স্থলে ব্যক্তিবাচক শব্দের প্রয়োগ প্রাচীন কবিদের কাব্যে যথেষ্ট দেখা ফায়, কবিবল্লাভের রচনাতেও उांश ऊां0छ,- “সুৰ্য্য সনে মোর মিতা।”- এস্থলে “মিতালী” অর্থাৎ মিত্ৰত অর্থে “মিতা’ শব্দের প্রয়োগ । ভিন্নার্থে বিভিন্ন শব্দের প্রয়োগ “দুহিতা যমুনা যম তনয় আমার। তেজময়ী পাছে দুহে করেন প্ৰতিকার ৷” এস্থলে “অধিকার’ অর্থে ‘প্ৰতিকার’ শব্দের প্রয়োগ হইয়াছে; কিন্তু প্ৰতি উপসর্গের অর্থের প্রতি কবির উদ্দেশ্যের একটা বিশেষ টান আছে। স্বর্যালোকে রাজপুত্রকে বসন্ত ভয়ে লুকাইয়া রাখা হইলে, শীতলা সুৰ্য্যলোকেও বসন্ত ছড়াইয়া দেন। পুত্ৰকন্যার প্রতি পাছে শীতলা অনুগ্রহ করেন, এই ভয়ে সুৰ্য্যপত্নী ছায়া সুৰ্য্যকে ঐ কথা বলিতেছেন। অতএব অনুভব হয় যে, ছায়া ভাবিতেছেন, শীতলার শীকার রাজপুত্রকে আনিয়া রাখা, অপরাধে শীতল্লা প্ৰতিশোধ দিবার জন্য যদি তাহার পুত্ৰকন্যাকেই আক্রমণ করেন। প্ৰতিকার শব্দের প্রতি’ উপসর্গ হইতে আমরা কবির অন্তরস্থ প্ৰতিশোধের ভাবটুকু বোধ হয় টানিয়া বাহির করিতে পারি।

  • একটী কবিকল্পনার সমাসী অতি সুললিত বটে

“নীলকণ্ঠ-প্রিয়া-তাত, তথি কেবা যায়।” নীলকণ্ঠের (শিবের), প্রিয়া (পত্নীর), তুতি ( পিতা) অর্থাৎ হিমালয় হইলেও ব্যাপ্ত্যৰ্থে পৰ্বতমাত্র অর্থ গৃহীত হইয়াছে। “তথি” তথায়। “বিস্তুর বাড়ীকে যেন গোবিন্দ তিখারী।”