পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন। ১৩০৫ । ] শীতলা-মঙ্গল । kGR “গোবিন্দ স্মরণে, গতি গোকুলের পথে ৷” • এই টুকুই বড় সুন্দর ! - জরা যতই সাহস দিক, মা শীতলা কৃষ্ণকে ভালরূপ চিনিতেন, কাজেই গোবিন্দী-মোহনার্থ যাত্রাকালে সেই গোবিন্দেরই নাম স্মরণ করিয়াই যাত্ৰা করিলেন । যখন শীতলা গোকুলের পথে প্ৰবেশ করিলেন, তখন কৃষ্ণ গোষ্ঠে আসিয়াছেন ;- “জাবটে প্ৰবেশ হঅ জানাতে রাধারে । DBD BDBD BDB B DBD uDDD SAS এই দুইটি চরণে কবি গোষ্ঠ-প্ৰবেশকালে বংশীবাদনের যে কারণ দিয়াছেন, তাহা অপুৰ্ব্ব । অনেক বৈষ্ণব কবির ও অনেক প্রাচীন কবির কাব্য এ পৰ্য্যন্ত যাহা দেখিয়াছি, তাহার কোথাও এমন সুন্দর মধুর কারণোল্লেখ দেখি নাই ; কিন্তু এই বঁাশী বাজাইবার কারণ বুঝিয়া আমরা যতই আহিলাদিত হই না, আর বঁাশীর স্বরে শ্ৰীমতী রাধিকার যতই আনন্দোৎকণ্ঠার উদ্ভব হউক না কেন, মা শীতলার কিন্তু প্লীহা চমকাইয়া গেল ; কবি বলিতেছেন,- “রাধা রীধা বলিয়া বংশীতে দিতে শাণ । শীতলার শুন্য পথে উড়ে গেল, প্ৰাণ ॥” তার পর শীতলা পাছে কৃষ্ণের সম্মুখে পড়েন, এই ভয়ে পথ ছাড়িয়া এক নিম্ববৃক্ষমূলে লুকাইলেন। সেই বৃক্ষের নিম্ন দিয়া কৃষ্ণ ধেনুপাল ও দ্বাদশ গোপাল লইয়া চলিয়া গেলেন। শীতলা সেই “নটন গতিভঙ্গ” দেখিলেন, তখন “এ সব কৃষ্ণের কীৰ্ত্তি করি নিরীক্ষণ । দুনিয়নে বহে ধারা ব্ৰণময়ী কন ৷ পৃথ্বী হলি পবিত্ৰ পবিত্র হল মাটী। প্ৰত্যহ পড়িয়া কৃষ্ণের পাদপদ্ম দুটী ৷ • তোর পৃষ্ঠে লীলা খেলা কৃষ্ণের বিহার । এমন পরমভাগ্য অার হবে কার্য ।” এইরূপে শীতলা একে একে পৃথিবীর, নন্দের, গোপগোপী, গোকুলের তরুলত পশু পক্ষীর, শ্ৰীদামাদির এবং যশোদার কৃষ্ণ-প্ৰাপ্তিতে তাহদের ভাগ্য-প্ৰশংসা করিতে করিতে অগ্রসর হইলেন। কৃষ্ণ গোষ্ঠে গিয়াছেন, তঁহার যেন একটু সাহসী হইল,— • “শুন্য হল গোকুল বিপিনে গেল হরি। শীতলা বলেন আমি অকারণে ডরি ॥ এইবার যেতে হল। যশোদা নিকটে । বিপ্ৰ নিত্যানন্দ বলে এই যুক্তি বটে ৷” তাহার পর শীতলা নন্দালয়ের পথ ধরিলেন। “যত গোপশিশু সঙ্গে যত গোপের মেয়্যা । জরাবস্থা বুড়ী দেখে সন্ডে আইল ধেয়্যা ৷ বলে, কাটা হাতে কুলামাথে কক্ষেতে কলসী । কে তুই কাহার মেয়া কোথারে যায়সি ৷” তৎপরে কেহ ডাকিনী বলিল, কেহ পিশাচী বলিল, কেহ গাত্ৰগন্ধে হস্তকার তুলিয়া পলাইল। শীতলা দোষ খুজিতেই আসিয়াছিলেন, এই অপমান দেখিয়া, অতি ক্ৰোধে অন্ধ হইয়া, তাহাদের পতিপুত্রের মুণ্ড-ভোজনের ব্যবস্থা করিতে করিতে, তাহদের যৌবনোদ্ভাসিত দেহ বসন্তে পচাইয়া দিতে দিতে চলিতে লাগিলেন, শেষে