পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন। ১৩০৫ । ] শীতলা-মঙ্গল। હર્વે দিলাম। ক্ষমা পাছে ভুল, নন্দকে গিয়া শীঘ্ৰ বল, । পুজিতে শীতলা পদৰ্থয়। • না পুজা না রবে চাড়, , পচায়্যা গলার হাড়, চক্ৰবৰ্ত্তী নিত্যানন্দ কয় ৷” ব্যাপার শুনিয়া নন্দরাণীর আত্মাপুরুষ উড়িয়া গেল। বুড়ী খাইতে চায় খাউক, তাহাতে তঁহার রাজার সংসারে আর আপত্তি কি ? তবে গোপালের কথা কি বলিল, তাহাতেই তাহার মাথায় আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িল । মনে মনে বলিলেন,- “এ বুড়ী মনুষ্য নয়, ডাকিনী হাকিনী হয়, মোক্ষিণী যোগিনী রাক্ষসিনী ॥”* বাঙ্গালী মাতৃ-হৃদয়ের একখানি পূৰ্ণছবি কবি এই স্থলে প্ৰকাশ করিয়াছেন। তাহার পর যশোদা নন্দকে গিয়া সমস্ত বলিলেন । নন্দ চান্দবেণের মত চটিয়া লাল,- “এত শুনি নন্দ ঘোষ জলন্ত আগুনি । কিসের শীতলা সেটা কিসের রমণী ৷” পারণাতে মৎস্য মাংস করেন ভোজন । পিশাচের ধারা এত প্ৰেতের লক্ষণ ৷ এমন দেবীর পূজা আরাধিব কে। তারে দেখিলে পাপ ঘটে দূর করে দে৷” দুর হইতে গালাগালি দিয়া নন্দেরী তৃপ্তি হইল না, উঠিয়া সম্মুখে গিয়া শ্বালি দিল, আর বলিল “কোথাকার রাক্ষসী বকসী বেশ হয়্যা। মেয়া ঘর পেতে চাহিদ দাবাইয়া ৷” তার পর ‘দোহাতিয়া বাড়ি’ তুলিয়া মারিতেও গেল। শীতলা দূরে সরিয়া গিয়া মাথা বঁাচাইলেন এবং শাসাইয়া বলিলেন,- “ইহার শাস্তি ঘোষ আজি কালি পাবি ৷” তাহার পর জ্বরকে আসিয়া সমস্ত বলিলেন । নন্দকর্তৃক অপমানাদি সমস্ত বলিয়া সী, শীতলা শেষে আক্ষেপ করিয়া বলিলেন,- “কৃষ্ণ যার পুত্র তার এত গৰ্ব্ব বাড়ে । জরা বলে আহীিৱীয়া অঙ্গ নাহি ছাড়ে ৷ কৃষ্ণ তার কেনা কি কার্যাছে এই মনে । তেঁই পাকে বেন্ধে মারে যমলঅৰ্জ্জুনে ॥ তপস্যার বশ কৃষ্ণ জানে নাঞি তা । বৎসর বাইেরর জন্যে পোষা বাপ মা ৷ এই গৰ্বে আহীিরিয়া এতেক দিছে গালি । ইহার উচিত ফল দিব আজি কালি ৷ बाधि अधिकांद्ध लेिब्न बक्षा श्व क्षद्धि । আহীর কি গৰ্ব্ব করে ঈশ্বরে না ডারি। ইন্দ্ৰ আদি দেবতা অৰ্চিয়া কৈল পূজা। ব্রজে হব বঞ্চিত বৃথাই ব্যাধি রাজা ॥” এইরূপ আস্ফালন করিয়া জ্বর জ্বলিয়া উঠিল, বলিল, কৃষ্ণকে এতটা অপমান কি সহ করা যায়? ও গোয়ালাদের সঙ্গে ইহার মীমাংস কি করিব, জিনি এই রোগাধিকার দিয়াছেন, একবার তঁহার সহিত ইহার বোঝা পাড়া করিতে হইবে,- “এত অপমানে প্ৰাণ রাখি আকারণে। জানাইতে যাই আগে জনাৰ্দন স্থানে। দাসে যদি দয়া নাঞি করে দেবরাজ। * আজি হতে অধিকারে আর নাহি কাজ ৷ নহে যদি হরিষে হুকুম করে হরি। বঁস্যা দেখ ব্ৰজেতে বিরাট পৰ্ব্ব করি ৷” এই বলিয়া জরাসুর মা শীতলাকে কতকটা প্ৰবোধ দিয়া “জয় জগন্নাথ” বলিয়া