পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qbታ” সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা [ ১ম সংখ্যা । কৃষ্ণান্বেষণে র্যাত্ৰা করিল। কৃষ্ণ তখন গহ্বনে গাভী রক্ষা করিতেছেন। যেদিন জ্বর। এইভাবে কৃষ্ণের নিকট গেল, সেইদিন কৃষ্ণ "ব্ৰাহ্মণদিণের যজ্ঞ নষ্ট ও · ব্ৰাহ্মণীগণের নিকট অন্নভিক্ষা” লীলা আরম্ভ করিয়াছেন । জম্বারাসুর যখন গোষ্ঠে প্ৰবেশ করিল, তখন কৃষ্ণের লীলা শেষ হইয়া গিয়াছে, দ্বাদশ রাখাল সঙ্গে এক নির্জন তরুতলে রঙ্গহাস্যরহস্যে বিরাজ করিতেছেন। জরা আসিয়া কিন্তু দেখিতে পাইল না। তখন সে এক বৃদ্ধ • বিপ্রের বেশ ধরিয়া গোষ্ঠের মধ্যে ঘটস্থাপনা করিয়া শীতলার পূজা আরম্ভ করিলা ; ঘণ্টার বিকটনিনাদে বনপুর্ণ করিয়া তুলিল। সে শব্দে গাভী গুলি চমকাইয়া উঠিয়া ইতস্ততঃ ছুটতে লাগিল,- “ঝাঁপ দে গহনে গরু বুলে ঝালি খায়্যা । খেলা ভাঙ্গে সুবল তখন আল ধায়্যা ৷ গুটায়্যা গহনে গাভী লয়। আল গোঠে । এথা পদ্ধতি করিয়া জরা পুষ্প দেই ঘটে ৷” সুবল আসিতে আসিতে ইহা দেখিতে পাইল, দেখিয়া চটিল, বলিল, দেখিতেছি। তুমি • ঠাকুরাণী. পূজা করিতেছ, কিন্তু তোমার পূজার - চোটে আমার গো-পালা “ঝাল খেয়ে” বেড়াইতেছে, এ কি রকম বিকট পূজা। জ্বারাসুর মিষ্ট কথায় সত্য কথাই বলিল,- “ব্ৰাহ্মণ বলেন বাপু বসন্তের রাজা । গোরু গাই বাড়ি দিবে গোষ্ঠে হল পূজা ৷” সুবল বলিল,-তাতো ঠিক কথাই, কিন্তু কৃষ্ণকে আনিয়া তোমার এ ঠাকুরালী ভাঙ্গিয়া দিব। আর চড় মারিয়া তোমার গালও ভাঙ্গিব। জরও বলিল—সেই কথাই ভাল, কৃষ্ণকে ডাকিয়া আন। তিনি জগন্নাথ, আমি যে কে তাহা তিনি জানেন। আমার একটু পরিচয় তোমাকেও দি,- “অন্ধর নাম ধর্যাছি যাবত বীরকে জারা । গৰ্ব্ব ছাড়া গোয়াল গার্জনে যাবে মর্যা ৷” সুবল কৃষ্ণ বলে বলীয়ান-একথা শুনিয়া হটিয়া যাইবার পাত্ৰ নহেন, বলিলেন,- “সুবল বলেন বিপ্ৰ বাড়ি যে দেখি বড় । লুটাব লোটায় যেন লোটন কপোত ৷” তাহার পর সুবলের বালকত্ব প্ৰকাশ হইয়া পড়িল, জরাকে চড় মারিতে গেল । জ্বরা তখন স্বরূপ ত্রিশিরা, ষড়বাহু, নয়চক্ষু, ত্ৰিপদ মূৰ্ত্তি প্ৰকাশ করিয়া দাড়াইল। “জ্বরকে আর কিছু করিতে হইল না, এই বিকট জুজুমূৰ্ত্তি দেখিয়াই সুবল পলাইল এবং কঁদিয়া কৃষ্ণকে গিয়া সমস্ত বলিল। অন্যান্য রাখালেরা শুনিয়া কংসচর বলিয়া অনুমান করিল। বলরামও বাহবাস্ফোট করিয়া উঠিলেন, কিন্তু কৃষ্ণ জরার বিবরণ জানিতে পারিলেন । --তারপর কৃষ্ণ মৃদুমন্দ হাসিতে হাসিতে জরাকে জানান দিবার জন্য বঁাশী বাজাইয়া অগ্রসর হইলেন। জরাসুর বঁাশী শুনিয়া আবার বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণবেশ পরিগ্ৰহ করিয়া বসিল । কৃষ্ণ সদলে আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং দক্ষিণ চরণের আঘাতে শীতলার ঘট ফেলিয়া দিলেন । কৃষ্ণের এই অপকাৰ্য্য কবি অতি সুন্দর ভাবে সমর্থনা করিয়াছেন,-- “পূৰ্ব্বে পাদপরশে দেবীর ছিল মনে। ভাবগ্ৰাহী ভগবান ভাব তাহ জানে ॥ अक्रि०१ फुझge कुष ख्गि शुल्ने cछैठा । আকাশে দুন্দুভি বাজে উরিলা শীতলা ।