V8 - সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । ! sभ ज९थf । এই হলধর সিংহ সম্ভবতঃ কবিকে গঙ্গাতীৰুে ৰাস করাইয়া ছিলেন। প্রকাশকের লিখিত অনুবাদক শিবনারায়ণ সিংহের সহিত এই হলধরের কোন সংশ্ৰব আছে কিঙ্গনা, কে জানে ? কাশীজোড়ার রাজা রাজনারায়ণ নিত্যানন্দের প্রতিপালক ছিলেন, তঁাহার আশ্রয় কবি কেন "যে ত্যাগ করিয়া হলধর সিংহকে আশ্রয় করিয়াছিলেন, তাহ জানা शशि व् । a. আত্মপূজার গ্রচার হেতু শীতলা বিরাটের ঘরে ঘরে ঘুরিয়াছিলেন, কিন্তু বিরাট বলেন,-, “শিব ছেড়ে সেবিতে নারিব শীতলাই ।” মৎস্যদেশী ব্ৰাহ্মণের বলেন, “শিব বিনে অন্য দেব নাহি পুজে রাজা। শীতলা পূজিলে সবংশে বধিবেক রাজা ৷” এতদ্ভিন্ন চন্দ্ৰকেতুর পালা ও গোকুল-পালাতেও এই শিবভক্তির কথা। কথিত হইয়াছে। ইহা দেখিয়া আমার অনুমান হয় যে যখন শৈবধৰ্ম্মের সংঘর্ষে ধীরে ধীরে শাক্তধৰ্ম্মের বা তান্ত্রিক পুজার প্রচার হইতেছিল, সেই সময়েই চণ্ডী শীতলা মনসা প্ৰভৃতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দেবীপূজার প্রচার আরম্ভ হয়। চাদবোণে, কালকেতু, রাজা চন্দ্ৰকেতু, নিমাই জগাতি, দেবদত্ত, বিরাটরাজ সকলেই শিবভক্ত আর সকলেই শিবপূজা ছাড়িয়া দেবীপূজা করিতে প্ৰথমে অস্বীকৃত শেষে দেবীর প্রকোপে লাঞ্ছিত হইয়া অনিচ্ছায় দেবীভক্ত হইয়া পড়েন । এই সকল দেবী যে যে রোগ বা জন্তু ভীতিনিবারিণী বা সুখদাত্রী বলিয়া পরিকীৰ্ত্তিতা হইতেন, সেই সকল গুণ পূর্বে শিবেই ন্যস্ত ছিল। লোকে সেই সকলের জন্য পূর্বে শিবেরই সেবা করিত। এক্ষণে প্ৰত্যেক বিষয়ের জন্যই এক এক উপাস্য দেবী পাইয়া শিবকে ক্রমশঃ ত্যাগ করিতে লাগিল। এ সম্বন্ধে আমার ধারণা এইরূপ, সত্য মিথ্যা ভগবান জানেন। -- নিম্নলিখিত চরণগুলি গোকুল-পালায় ও এই বিরাট-পালায় অবিকল এক দেখা যায় ; ( ১ ) যুক্তি হেতু জগৎমাতা জরাকে জিজ্ঞাসে । ( ২ ) দাণ্ডাল যতেক ব্যাধি জোড়হাত হৈয়া ৷ (৩) সোণার শরীর করে উয়ের নাদন । ( ৪ ) যাত্ৰা কৈল শীতলা জরাকে সঙ্গে করে। ইত্যাদি আরও অনেক কথা আছে। “ জাগরণ-পালায় শীতলার উৎপত্তি সম্বন্ধে সর্বত্র তাঁহাকে ব্ৰহ্মার কন্যা বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে, কেবল “ভারি ভুরি বিমুখ ভিখারী তোর খুড়া। র্যাড় ছেড়ে এক পা হাঁটতে নারে বুড়া ৷”
