পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न »७०é । শীতলা-মঙ্গল। ৬৫ এ স্থলে শিবের ভ্রাতুষ্কন্যা । সুবার “মু স্বাহ পিতা অগ্নি জানে ত্ৰিভুবনৈ । ব্যাধি সঙ্গে বুলি আমি সাক্ষাৎ ত্ৰিভুবনে ৷” এস্থলে অগ্নিও স্বাহার কন্যা বলিয়া উক্ত হইয়াছেন। সুবাক্য-বিরোধী বাক্যের মধ্যে সত্যনিৰ্ণয় করা এক প্রকার অসাধ্য । নিত্যানন্দ যে বৈষ্ণব ছিলেন, তাহা তঁহার বৃন্দাৰুন-বৰ্ণনায় ভক্তিপূর্ণ ভূবি দেখিলেই বুঝা যায়, কিন্তু সাম্প্রদায়িক বৈষ্ণবের যে বিরোধী ছিলেন, তাহার প্রমাণ বিরাটরাজের বৈষ্ণব-পূজার বর্ণনায় পাওয়া যায়,--- “এই মত ক্ৰমে ক্ৰমে করয়ে ভ্ৰমণ । বিরাজিল বুঝিবারে বৈষ্ণবের মন ৷ আশাদাস অধিকারী অষ্ট বেটী বেটা । চৌদিকে বৈষ্ণবের পাড়া নিত্য মালা ফোটা ॥ পুজার প্রকাশ বুড়ী কহে নিত্যধামে। সীতারাম স্মরে তারা শীতলার নামে । ( বলে মেীরা বিষ্ণু পূজি বুড়ী মাগী লেক । দুহাতিয়া সোটা মেরে দুৱ ಇಡ್ಲಿ?! 臀 诛 柴 米 饰 • অযোনিসন্তৰ অামি ধাতা মোর পিতা । ব্ৰহ্ম অংশে জন্ম মম সৰ্ব্বজনখ্যাত ৷ মৎস্য কুৰ্ম্ম আদি কৃষ্ণ দশ অবতার। সকলে সংঘট কৈল বসন্ত আমার ॥ তোরা কাটু তিলক তুলসী কণ্ঠমালা তেল পারা বপুতে বের্যাবে নুহা গড়া ৷ গা পচাইয়ে হাড় গলাইব পোট । পুজা নিব। ঘরে বসে বৈয়া দিবি জোড়া পােটা ৷” শেষোক্ত চরণে শীতলার মুখে বৈষ্ণবের প্রতি যে শ্লেষোক্তি কবি গাহিয়াছেন, তাহ হইতে ঐ সম্প্রদায়ের প্রতি র্তাহার মনোভাব বুঝা যায়। দুঃখের বিষয় যে বিরাটপালা ছাপা হইয়াছে, তাহ সম্পূর্ণ ও সুপ্ৰণালী শুদ্ধ নহে, সুতরাং তাহা হইতে আমরা আর অধিক আলোচনা করিব না। বিরাট-রাজ্যের প্রজার ব্যবস্থা, སྣ་ལ་ দুঃখ-বৰ্ণনায় তখনকার বাঙ্গালার সামাজিক ইতিহাস কিছু কিছু জানা যায়। শীতলা বৃদ্ধ জ্বরতীবেশে বলদবেশী গর্দভের পৃষ্ঠে বসন্তের ছাল চাপাইয়া জরাসুরকে রাখাল সাজাইয়া মৎস্যদেশের পথে উপস্থিত হইলেন। নিমাই সেই পথের বাণিজ্য-দ্রব্যের শুল্ক-সংগ্ৰাহক অৰ্থাৎ “জগাতি” ছিলেন। বলদের ঘণ্টারব শুনিয়া সদলে আসিয়া শীতলার পথরোধ করিয়া বলিলেন,- “জোর করে তোর প্রবটা ভঁড়ায়ে জগাতি । রাস লৈয়া রত্ন বৈয়া যাইস সারা রাতি ৷