পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন। ১৩০৫৷৷ দ্বিজ রামচন্দ্রের দুর্গামঙ্গল । এই সকল লেখা হইতে বুঝা যাইতেছে, কবি রামচন্দ্র অনুমান ২২৩ কি ২২৪ বৎসর পূৰ্ব্বে ২৪ পরগণা জেলার অন্তর্গত ভাগীরথীর পূর্বতীরস্থ হরিনীভি গ্রামে রাঢ়ীয় শ্রেণী ব্রাহ্মণের মুখুৰ্য্যে কি মুখোপাধ্যায় বংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। ইহার পিতামহের নাম গোপাল মুখুটী, পিতার নাম রামধন মুখুটী। ইহারা তিন ভ্রাতী ছিলেন, তন্মধ্যে কবিবর রামচন্দ্ৰই জ্যেষ্ঠ। তাহার মাতামহ দ্বিজ বিনোদরামও হরিনাভিতেই বাস করিত্নে ।। শ্ৰীযুক্ত পণ্ডিত তারাকুমার কবিরত্ন মহাশয় বলেন, “পূর্বে জাহ্নবী হরিনাভির পশ্চিমভাগ দিয়া প্রবাহিত ছিলেন, এখন মজিয়া গিয়াছেন, উহার সামান্য চিহ্নমাত্ৰ আছে।” কবির পরিচয় এই পৰ্যন্ত योका भूिgिछ । এখন দেখা যাউক, এই কাব্যের ‘দুর্গামঙ্গল’ নাম কেন হইয়াছে ? শাস্ত্রবাক্যে ও হিন্দুধৰ্ম্মে একান্ত আস্থাবান কবিবর রামচন্দ্ৰ বঙ্গসমাজে পুরাণোক্ত দুর্গাপূজা ও দুর্গানবমীব্রতের, উপদেশ প্রদানের নিমিত্ত এই কাব্যের নায়ক-নায়িকা-সংক্রান্ত ঘটনাবলীর মধ্যে দুর্গাপূজা ও দুর্গানবমীব্ৰতের বর্ণনা করিয়াছেন, এই জন্য কাব্যের দুর্গামঙ্গল নাম হইয়াছে। এই কাব্যখানি, হস্তলিখিত পুথির পাতার ১১৬ পৃষ্ঠায় সমাপ্ত হইয়াছে। মহাভারতের বনপৰ্ব্বাস্তগত প্ৰসিদ্ধ নলোপাখ্যান অবলম্বনে মহাকবি শ্ৰীহৰ্ষ প্ৰথমে সংস্কৃত ভাষায় 'নৈষধচরিত’ নামে প্ৰসিদ্ধ মহাকাব্য রচনা করেন। কবিবর রামচন্দ্ৰ ঐ বিবরণ অবলম্বন করিয়াই বাঙ্গালা ভাষায় ‘দুর্গামঙ্গল” কাব্য রচনা করিয়াছেন। এই কাব্যের উপাখ্যান মহাভারতে স্বেরূপ আছে, শ্ৰীহৰ্ষ মনোহর কল্পনার সাহায্যে উহাকে তদপেক্ষা কিঞ্চিৎ বিস্তৃত ও নানাবর্ণে চিত্ৰিত করিয়াছেন। . কবিবর রামচন্দ্র উহার উপর আর একটু কল্পনা ও তদানীন্তন বাঙ্গালী সমাজের একটী নিখুঁত চিত্র সম্বলিত করিয়া ‘দুর্গামঙ্গল” কাব্যের অবয়ব গঠন করিয়াছেন। শ্ৰীহৰ্ষ নলদমযন্ত্রীর বিবাহ-বৰ্ণনা করিযাই “নৈষধ-চরিত’ শেষ কবিযাছেন, কিন্তু শেষোক্ত কবি “দুৰ্গামঙ্গল” কাব্যে নলোপাখ্যানের সমুদয় অংশই গ্ৰহণ করিয়াছেন। বেদাচার এবং হিন্দুরীতিনীতিপরিভ্রষ্ট ব্যক্তিগণকে স্বধৰ্ম্মে আকর্ষণ করাই ‘দুর্গামঙ্গল” কাব্য রচনার উদ্দেশ্য । ‘নৈষধ-চরিত’-প্ৰণেতা যে সময় তাহার কাব্য রচনা করেন, বোধ হয় তখন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সহিত হিন্দু সম্প্রদায়ের ধৰ্ম্মমত লইয়া বাগবিতণ্ডা চলিতেছিল, শ্ৰীহৰ্ষ ཅི་ ཨེ་མི་གཏི་ চিত্ৰ 'নৈষধ-চরিতের’। ১৭শ সর্গে লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। তিনি কলিব মুখে নাস্তিক ও বৌদ্ধগণের যুক্তি এবং দেবগণের মুখে আস্তিক ও হিন্দুগণের যুক্তি পরিত্যাগ করিয়াছেন। কলি বলিতেছে*,- “কোনও বােধিসত্ত্ব জন্মগ্রহণ করিয়াছেন, যিনি বেদের প্রামাণ্য অস্বীকারের নিমিত্ত যাহা সৎবস্তু তাঁহাই ক্ষণিক, এই অনুমান দ্বারা জগৎকে অনিত্য বলিয়াছেন। আর বৃহস্পতি বলেন, অগ্নিহোত্ৰ কৰ্ম্ম, তিন বেদ, মীমাংসা শাস্ত্ৰ, ভস্ম দ্বারা তিলক, “কেন্যাপি বোধিসত্ত্বেন জাতং সত্ত্বেন হেতুন। ষন্ধেদমৰ্ম্মভেদায় জগদে জগদস্থিরম। अप्श्द्धि१ी उ३ मि१७१ ভমুপুঙকন্তু। প্ৰজ্ঞাপৌরুষহীনানাং জীবো জল্পতি জীবিকাঃ ॥ শ্রতিস্মৃত্যৰ্থবোধেযু নৈকমত্যং মহাধিয়াং। ব্যাখ্যা বুদ্ধিবলাপেক্ষা সা নোপেক্ষ্যা সুখোমুখী ॥৬