পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ষষ্ঠ ভাগ).pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sio o সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ ৩য় সংখ্যা এবং রোমজনপদও নানাবিদ্যার সমুজ্জল আলোকে সমুদ্ভাসিত হইয়াছিল। অতএব পাশ্চাত্য সভ্যতার আদর্শক্ষেত্র গ্রীস ও রোমজনপদে কি প্রকারে অলঙ্কার বিদ্যার সৃষ্টি ও ক্ৰমবিকাশ ঘটিয়াছিল, এস্থলে তৎসম্বন্ধে কিঞ্চিৎ আলোচনা করা বোধ হয় অসাময়িক নহে । এ বিষয়ে বহু গ্ৰন্থাবলী বিদ্যমান আছে সে সমুদয়ের আলোচনা সাধ্যাতীত। অতএব একটিমাত্র উৎকৃষ্ট প্ৰবন্ধের যৎকিঞ্চিৎ সারমর্ম এখানে উদ্ধত হইতেছে। গ্ন্যাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্ৰীকৃ-ভাষার অধ্যাপক ডাঃ আর সি জেকব মহোদয় বলেন ;- ডায়োজিনিস লেয়ারাটিয়াস আরিষ্টেটলীকৃত এক খানি অলঙ্কার গ্রন্থের উল্লেখ করিয়া বলিয়াছেন * খৃঃ পূর্ব ৪৭২ অব্দে এমপিডকৃলিসূ অলঙ্কারবিদ্যার প্রথম আবিষ্কার করেন। এগ্রিগেণ্ট’ম নগরে রাজার অত্যাচার দূরীকরণের নিমিত্ত তিনি উপমা রূপক প্রভৃতি নানাবিধ বাগভঙ্গীর অবতারণা করিয়া রাজকীয় অত্যাচার নিবারণ ও অলঙ্কারবিদ্যার প্রথম সুচনা করিয়াছিলেন। খৃঃ পূঃ ৪৬৬ অব্দে সাইরোকিউস্ নগরের সুপ্ৰসিদ্ধ পণ্ডিত কোরেক্স কর্তৃক অলঙ্কার নামক একটি পৃথক বিদ্যার প্রথম ভিত্তি সংস্থাপিত হইয়াছিল৷ খৃঃ পূঃ ৪৬৬ অব্দে সাইরেকিউসের অত্যাচারী শাসনকৰ্ত্তা। থ্যাসিবিউলাস রাজ্যচু্যত হন এবং প্রজাতন্ত্র-প্ৰণালী সংস্থাপিত হয়। এই ঘটনার অব্যবহিত পরেই প্ৰজাগণ স্বীয় ভূমিবিত্তের পুনরুদ্ধারের নিমিত্ত নানাবিধযুক্তি ও অলঙ্কারপূর্ণ বাক্যদ্বারা নিজের দাওয়া প্ৰকাশ করে। স্বীয় স্বীয় অধিকার প্রমাণ করিবার জন্য অনেককেই অলঙ্কার বিদ্যার আশ্রয় গ্ৰহণ করিতে হইয়াছিল । সরল অধিবাসিবর্গ ধৰ্ম্মাধিকরণে আপনি আপন মনোভাব ব্যক্ত করিবার নিমিত্ত অলঙ্কার বিদ্যা অবলম্বন করিয়াছিল । প্ৰজারা যদি সকলেই এক প্ৰকার কথায় বলিত যে “মহাশয়! পাঁচ বৎসর পূর্বে রাজা গুণাসিবিউলাস আমার ভূমি গ্ৰহণ করিয়াছিলেন,” তাহা হইলে বিচারকেরা পুনঃ পুনঃ এক প্ৰকার বাক্য শ্রবণ করিয়া তাহাতে মনোযোগ করিতেন না এবং প্ৰজারাও সুবিচার প্রাপ্ত হইত না । এই হেতু বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন প্ৰকার বাগভঙ্গীর আশ্রয় গ্রহণপূর্বক স্বীয় স্বীয় মনোগতভােব অতি নৈপুণ্যের সহিত প্ৰকাশ করিত। কোরাক্স বাক্যসমূহকে সুসজ্জিত করিবার নিমিত্ত কতকগুলি নিয়ম বিধিবদ্ধ করিয়াছিলেন । তিনি বাক্যকে কতিপয় ভাগে বিভক্ত করেন । প্ৰথম বাক্যভেদ, দ্বিতীয় সম্ভাবনা। নিম্নে সম্ভাবনার একটি উদাহরণ দেওয়া যাইতেছে। কোন দুর্বল ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে প্ৰহার করিয়াছে বলিয়া অভিযুক্ত হইলে সে ধৰ্ম্মাধিকরণে গিয়া বলিত যে “মহাশয় । ইহা কি সম্ভব হয় যে আমার ন্যায় দুর্বল ব্যক্তি উহাকে আহত করিতে পারে।” এইরূপ বাক্যরচনাই প্ৰাচীন গ্ৰীকৃভাষায় প্রধান অলঙ্কারপূর্ণবাক্য বলিয়া পুরিগণিত হইত। এই শ্রেণীর বাগন্ত্রপ্রয়োগেই প্ৰতিপক্ষগণ পরাভূত হইত। কোরাকৃসের শিষ্য টিয়িশাস অলঙ্কারবিদ্যার সমধিক উন্নতিসাধন করেন। আরিষ্টোটল কোরাকস ও টিসিয়াসের অলঙ্কারের

  • অনেকে বলেন পূর্বোক্ত बगांव्र ग्रंह बाब्रिप्टेॉष्ण कुष्ठ नाश, अंशब्र किछु পুৰ্ববৰ্ত্তী cकांना भनौषिकवृंक