পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ষোড়শ ভাগ).pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 s "tsu * Jश्रृंज्ञा° Ro6ł নাই। র্তাহার কথায় জানিতেছি, ঘনরামের ধৰ্ম্মমঙ্গলে শব্দটি বাৰ্ম্মতি এবং দুই এক স্থলে ব্ৰহ্মতি রূপ পাইয়াছে। “এতিক্ষণে ধৰ্ম্মের বাৰ্ম্মতি হইল সায় ।”-ইষ্টার অর্থে শাস্ত্রী মহাশয়।" বলেন, ‘এতক্ষণে ধৰ্ম্মকে ব্ৰহ্ম বলিয়া প্ৰমাণ করিবার চেষ্টা সফল হইল।” কিন্তু ব্ৰহ্মতি শব্দের মূল কি ? মূল না পাইলে অর্থে সন্দেহ থাকে। ব্ৰহ মতি-ব্ৰহ্ম স্তুতি ? শূন্যপুরাণে বাৰ্ম্মতি ব্ৰহ্মতি শব্দ নাই, আছে বারিমতি। যথা,- १ शृः, ধৰ্ম্মপদব্রজে মধুলুদ্ধ বারমতি । শ্ৰীযুত রামাই গাএ মধুর ভারতী ॥ ( বারমতি মধুতে লুব্ধ রামাই গান করে । ) ७8 शृः, দেখ ঘর দানপতি সুপ্ৰসন্ন বারিমতি । ধন্যবংস মঙ্গল কর এ যুগপতি ৷ ( হে দানপতি রাজা হরিচন্দ্ৰ) ধৰ্ম্মরাজের ঘর দেখ, বারমতিতে সুপ্ৰসন্ন যুগ। পাতি ধন্যবংশ করেন । ) ভাবি যুগেশ্বর চলিলা মুনিবার সুনিআ বারমতি ভরন ৷ ( নারদ মুনিবার যুগেশ্বর করিয়া এবং বারমাতি ভীরুন (। পুরন ? ) শুনিয়া চলিলেন । ) సిసి కి, মনে আনন্দিত বারিমতি গীত পুরিল ঘর। (সকলে মনে আনন্দিত হইলেন, বারমতি গীতে ঘর পুর্ণ করিল। ) S\Oby ?:, বারমতি করে রামাই লয়্যা দিজগণ । ( দ্বিজগণ লইয়। রামাই বারমতি করে । ) শব্দটি বারমতি হইলে ছন্দে মিলিবে না, বারিমতি পড়িতে হইবে । বারমতি ক্ৰমে বারমতি --বাৰ্ম্মতি— এবং কোন পণ্ডিতের দ্বারা ব্রহ্মতি না হইতে পারে এমন নয়। আমার স্মরণ হইতেছে আমি ধৰ্ম্মের পণ্ডিতের মুখে বারমতি শুনিয়াছি, বারমতি শুনি নাই। বারমতি পুজা – দ্বাদশ বিধ পূজা, বারমতি গীত-দ্বাদশবিধ পুজার গীত ৷ মতি, ওড়িয়া-মন্তি, মতিপ্রকার। বাঙ্গালা, যেমত, এমত শব্দে ও সেই মতি, মত। বারমতি—যথা, টীকাপাবন, ফুলপাবন, অর্ঘ্যপাবন, পঞ্চদেবতাপূজা, স্নান, মনুষ্ট, সন্ধ্যা, চনাপাধন, ইত্যাদি। এই সকল ধৰ্ম্মপূজার পদ্ধতি । শাস্ত্রী মহাশয় ধ্যানের যে মন্ত্র তুলিয়া দিয়াছেন, সে মস্ত্রে শূন্য পুরাণের সৃষ্টিপাত্তনের ছায়া দেখিতে পাই । কিন্তু শেষের পদ, “ধৰ্ম্মের মঙ্গল গীত পণ্ডিত রামাই গান”-হইতে বুঝিতেছি সৃষ্টিপত্তন”ও ধৰ্ম্মমঙ্গলের অংশ। অতএব জানিতেছি, (১) শূন্য পুরাণের অধিকাংশ গান বা ধৰ্ম্মমঙ্গল, ( ২ )। রামাই পণ্ডিত গানের রচক, এবং (৩) তিনি অন্যের নিকট “ভারতী শুনিয়া” গান রচিয়াছিলেন । গানকে পূজাপদ্ধতি বলা যায় না। পূজাপদ্ধতি বাঙ্গালা ভাষায় হইলেও তাঁহাতে সংস্কৃত পদ থাকিবার আশা করা যায়। ১৩১৩ সালের সাঃ পঃ পত্রিকায় রামাই পণ্ডিত ও যাত্ৰাসিদ্ধির বিবরণ দেখুন। উহা গদ্য, প্রায়ই সংস্কৃত, মধ্যে মধ্যে বাঙ্গালা প দি থাকিলে ও সমস্তটা বাঙ্গলা নহে।