পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ষোড়শ ভাগ).pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা [ seí Heeri ܟܠ ܘ ܓ BuDu 00DDS DBDB DBDBB BBBS BBBK BD SS S S S LDDS LL SDDDD বারমতিপূজার পদ্ধতি * লিখ্যতে।” কিন্তু যাহা লিখিত হইয়াছে, তাহ পদ্ধতি নহে, বেড়া মনুইর পালা ! ৮৫ পৃষ্ঠে তীর্থ আবাহনে সংস্কৃত মন্ত্র আছে। এই টুকু পদ্ধতি । ৪ । শূন্যপুরাণের শব্দ ও শব্দের বানান। শব্দ দেখিলে শূন্যপুরাণ গ্ৰাম্য অশিক্ষিত লোকের রচনা মনে হয়। ছিক্সটি, ভূমিসটি, বস্তা, বান্তন, তপসী, পৈরাগ, তপিসসা, বিছাম ( বিশ্রাম ), ত্রিপিনী ( ত্ৰিবেণী ), একত্তর, মিত্তিকা, পচ্চিম, গড়র ( গরুড়), মোউর ( ময়ুর ), লা এক ( নায়ক ), পান ( প্ৰাণ ), ছাওয়া ( ছায়া ), চান ( স্নান ), নিল্লঅ ( নিৰ্ণয় ), ইত্যাদিতে রাঢ়ের গ্রাম্য নিরক্ষর লোকের শব্দ অবিকল পাই । মুলে কি ছিল কে জানে ; এখন যাহা আছে, তাহা গ্ৰাম্য অশিক্ষিত লোকের লেখা । শূন্যপুরাণের সম্পাদক মহাশয় এই কারণেই বোধ হয় অনেক শব্দের ঠিক অর্থ কিম্বা কোন অর্থ করিতে পারেন নাই। প্রায়ই নিম্নবর্ণের গায়কের ধৰ্ম্মের গান গাইয়া থাকেন। বর্তমান লেখকের ভাগ্যে ধৰ্ম্মের গান শোনার সুযোগ ঘটে নাই । কিন্তু মাণিক গাঙ্গুলীর ধৰ্ম্মমঙ্গলের ভাষা দেখিলে বোঝা যায়, গ্ৰাম্য নিরক্ষার লোকে সে মঙ্গলের পালা লিখিয়াছিল। এরূপ স্থলে শব্দের বানান দেখিয়া গ্ৰন্থরচনার কাল নিরূপণের চেষ্টা বৃথা । নগেন্দ্ৰবাবু লিখিয়াছেন, “এক সময়ে আমরা মনে করিয়াছিলাম যে, রামাই পণ্ডিতের এই গ্ৰন্থখানি যখন ধৰ্ম্মপণ্ডিতগণের নিকট বেদমন্ত্রবৎ পূজ্য, তখন এই গ্রন্থের ভাষার উপর লেখনী ধারণ করিতে হয়ত কেহ সাহসী হন নাই। কিন্তু এখন নানা স্থানের তিনখানি পুথির পাঠ মিলাইতে গিয়া আমাদের সে ভ্রম দূর হইয়াছে। আশ্চর্য্যের বিষয় এই, তিন পুথির উপরই তিনটী জয়গোপালের ছায়া *ड़िशांgछ ।' আমাদের বোধ হয়, সম্পাদক মহাশয় শূন্যপুরাণখানিকে পুজার পদ্ধতি মনে করিয়া ভ্ৰমে পড়িয়াছেন । পুরাণ নামেও জানিতেছি, উহা “বেদমন্ত্রবৎ পূজ্য” নহে। বাস্তবিক উহ! গানের পাল । গানের পালা যেমন গায়ন-সম্প্রদায়ের হাতে পড়ে তাহারা ভাষার ও বানানের তেমন রূপান্তর ঘটে । নগেন্দ্ৰ বাবু লিখিয়াছেন, ‘বাঙ্গালাভাষার অতি প্ৰাচীন পুথিগুলি প্ৰাকৃত ব্যাকরণের নিয়মানুসারে অনেকটা প্ৰাকৃতরূপ ধারণ করিত, যেমন সংস্কৃত য স্থানে প্ৰাকৃতে জ, শ ও ষ স্থানে স ইত্যাদি । আদর্শ পুথিতে অনেকটা সেই নিয়ম রক্ষিত হইয়াছে। * * * এই পুথির বিশেষত্ব এই ণ, য, ষ এবং শ এই কয়েকটি বর্ণের তেমন ७चटग्रा5 नाई ।” আজকালকার গ্ৰাম্য লিপিকারের বানানেও ণ নাই ; যা জা, শ ষ স, একের পরিবৰ্ত্তে কলমের মুখে যেটা আসে সেটাই দেখিতে পাই। সংস্কৃত প্ৰাকৃত ব্যাকরণের সময়ে বর্ণের উচ্চারণ ঠিক ছিল । এখন ন - ণকারের একরূপ উচ্চারণ, যা জকারের একরূপ, শ ষ স-কারের একরূপ