পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ষোড়শ ভাগ).pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

MR » Joye ) अांछन १र्डीद्धां \S) *) অনেক গ্রন্থে তাহ লিখিত আছে এবং আরও লিখিত আছে যে হিন্দুরা cवक्न् ७ নামক দুইটী দেবতার বহু প্রকার উপাসনা করিয়া থাকেন। বাস্তবিক এ দুইটি দেবতা আমাৰ দিগের নয়, গ্রীকদের ; এদেশে যে দুইটি দেবতাকে তাহদের উক্ত দেবীদ্বয়ের ন্যায় বোধ করিয়াছিলেন, তাহাদিগকেই উক্ত নামে অভিহিত করিয়া থাকিবেন। আমাদের মহাদেব গ্রাসাদেশীয় বোকাসদেব একই বলিতে হইবে। মহাদেবের লিঙ্গপূজার ন্যায় বেকস দেবেরও লিঙ্গপূজা বিস্তৃতরূপে প্রচলিত ছিল। প্ৰকারান্তরে গ্ৰীকগণ মহাদেবেরই পূজা করিয়াছিলেন। গ্রীস দেশেও লিঙ্গপূজা অতিমাত্র প্রবল হইয়াছিল। অনেক নগরেই প্ৰত্যেক পথে বহুতর মন্দিরে লিঙ্গমুৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত ছিল ও সময়ে সময়ে নানাবিধ ব্যাপার সহকারে লিঙ্গোৎসব সম্পন্ন হইত। জোেসফটু ও বুদ্ধদেবের বিবরণ ইতিপূর্বে লিখিত হইয়াছে, সম্ভবতঃ বেকস ও মহেশ ঐ প্রকারেই গ্রীসে নামান্তর প্রাপ্ত হইয়া থাকিবে। “ফেলিফোরিয়া” নামে বেকস দেবের একটা মহোৎসব ছিল, তাহাতে প্ৰবৃত্ত ব্যক্তিরা মেষচৰ্ম্ম পরিধানপুৰ্ব্বক সৰ্ব্বাঙ্গে মসী লেপন করিয়া নৃত্য করিত এবং এক একটি সুদীর্ঘ কাষ্ঠদণ্ডে ( বোৱাদণ্ডের ন্যায়) চৰ্ম্মলিঙ্গ বন্ধন করিয়া পথে পথে লাইয়া যাইত। তাহার এইরূপ স্তব করিত যে “হে বেকস । আমরা তোমার গুণকীৰ্ত্তন করি, হে উল্লাসের আশ্রয় ! তোমার গুণকীৰ্ত্তন সতী স্ত্রীলোকের শ্রবণীয় নয়।” বেকসভক্তগণ বেকস মন্দিরের সম্মুখে যে তাণ্ডব নৃত্য ও গীতাদির আচরণ করিত তাহাও বুঝিতে পারি। এই বেকিস্দেবের পুত্ৰ প্ৰায়েপস নামক দেবতার বিষয়ে এই প্রকরণ সম্বন্ধীয় যে সমুদায় কুৎসিত বৃত্তান্ত লিখিত আছে, তাহা স্মরণ করিলেও লজ্জা উপস্থিত হয়। তাহার প্রধান প্ৰধান মহোৎসব কেবল স্ত্রীলোক কর্তৃকই সম্পাদিত হইত। তাহারা গর্দভ বলিদান ও মদ্যাদি বিবিধ উপচারে তঁহার অৰ্চনা করিয়া নৃত্য গীতবাদ্যাদি দ্বারা তঁহাকে পরিতৃপ্ত করিত। এথিনিয়ন্স নামক একজন গ্ৰীক গ্ৰন্থকার লেখেন, গ্ৰীকেরা বেকস দেবের মহোৎসব-বিশেষে একশত বিংশতি হস্ত দীর্ঘ একটি স্বৰ্ণময় লিঙ্গমূৰ্ত্তি বহন করিয়া লইয়া যাইত। আমরা বিবেচনা করি এই বেকস-দেবের ‘ফেলিফোরিয়া” উৎসব আমাদের চড়কপূজা বা শৈবচৈত্রোৎসবের অনুরূপ। এদেশে শিবের গাজনে (শান্তিপুরে শিবের বিবাহে ) মালদহের গম্ভীরায় ভক্তগণ এবং সাধারণ জনগণ গাত্রে ধূলি, কর্দম, মসীচুৰ্ণ প্ৰভৃতি লেপন করিয়া গ্রামের মধ্যে নানাবিধ কুৎসিৎ ব্যবহার করে। গ্রীকগণ সুদীর্ঘ কাষ্ঠদণ্ড লইয়া যে তাণ্ডব নৃত্য কৱিত, আমাদের দেশে বেত্ৰিদণ্ড লইয়া তদ্রুপ নৃত্যের ব্যবস্থা দেখা যায়। গীত বাদ্য ও নৃত্যাদির বিররণ উভয় স্থলেই সমান। শিবের গাজনে বিশেষ বিবরণ অবগত হইবেন। পূর্বকালে লিঙ্গউপাসনা কেবল ভারতবর্ষ মধ্যে আবদ্ধ ছিল না । প্ৰায় অষ্টাদশ শতক্রোশ পশ্চিমে মিশরদেশে “আসীরিস” নামক প্ৰধান দেবের লিঙ্গপুজা বাহুল্যরূপে প্ৰচলিত ছিল। এই আসীরিস ও তদীয় ভাৰ্য্যা ‘আইসীস দেবীর সহিত শিব ও শক্তির বিবিধ বিষয়ে ঐক্য দেখা যায়। ভগবতী যেমন বিশ্বরূপ, আইসীস দেবীও সেইরূপ পৃথিবীরূপা । তন্ত্রোক্ত শক্তি যন্ত্র যেমন ত্রিকোণাকৃতি সেইরূপ ত্রিকোণ-যন্ত্র আইসিস, দেবীরও পরিচায়ক ছিল। শিব যেমন