করা হইয়াছে।”[১] ইহাই কি সম্ভবপর কৈফিয়ৎ? এমন কলঙ্কস্তম্ভ কি ভারতবর্ষে আর নাই?
অন্ধকূপ কোথায় ছিল, এখন আর তাহা চর্ম্মচক্ষুতে দর্শন করিবার উপায় নাই। কলিকাতার ‘জেনারেল পোষ্টাপিস’-সংলগ্ন উত্তরদিকে যে ফটক দেখিতে পাওয়া যায়, তাহার স্তম্ভগাত্রে পশ্চিমদিকে একটি ফলকলিপিমাত্র খোদিত আছে।[২]
ইহাতে “অন্ধকূপের” স্থান নির্দ্দেশের চেষ্টা ভিন্ন অন্ধকূপ-হত্যার কথা নাই, এবং যাঁহারা অন্ধকূপে জীবনবিসর্জ্জন করেন, তাঁহাদের কোন কথাই দেখিতে পাওয়া যায় না।
এই ফলকলিপিতে যে প্রস্তরনির্ম্মিত প্রাঙ্গণের কথা লিখিত আছে, সে প্রাঙ্গণ হলওয়েলবর্ণিত ১৮ ফিট আয়তনের নহে, কিম্বা মেকলেবর্ণিত ২০ ফিটও নহে;—তাহা দীর্ঘে ২২ ফিট, প্রস্থে ১৪ ১/২ ফিট। ইহাই কি অন্ধকূপ-করাগারের একমাত্র নিদর্শন? ইহাও পুরাতন নহে;—১৮৮৩ খৃষ্টাব্দে সংস্থাপিত। সে বৎসর নাকি মৃত্তিকা খনন করিবার সময়ে অন্ধকূপ-কারাকক্ষ বাহির হইয়া পড়িয়াছিল! ইহাই যে সেই অন্ধকুপের যথার্থ আয়তন, সে কথা কেহ কেহ অই- 'দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করিয়া গিয়াছেন![৩] আমরা কিন্তু অন্যত্র দেখিপের না ১৮১৮