পাতা:সিরাজদ্দৌলা - অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়.pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গুপ্তলিপি।
২৩৫

সাহেব উমিচাঁদকে নিতান্ত কুটিলহৃদয় পরমপাষণ্ড অর্থগৃধ্নু নরপিশাচ বলিয়া পৃথিবীর নিকট পরিচিত করিবার জন্য কত আগ্রহ প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন, তাঁহারা কেহই বিপদের দিনে তাঁহাকে ততদূর অবিশ্বাস করেন নাই! ইতিহাসে এ সকল কথার যথাযোগ্য সমালোচনা হয় নাই বলিয়া, বাঙ্গালী কবি লিখিয়া রাখিয়াছেনঃ—

“—যেন ভীষণ তক্ষক
আছে পাপী উমিচাঁদ ফণা আস্ফালিয়া।”[১]

 উমিচাঁদ সহায়তাগুণে রাজা মাণিকচাঁদ সহজেই বশীভূত হইলেন। একদিন যে মাণিকচাঁদ, ইংরাজ-দলনে অপরিসীম উৎসাহ প্রদর্শন করিয়াছিলেন, তাহা মন্ত্রৌষধিগুণে সহসা শিথিল হইয়া পড়িল। এই সেপ্টেম্বরের বৈঠকে স্বয়ং মাণিকচাঁদের পত্র ইংরাজ দরবারে সর্ব্বসমক্ষে উদ্ঘাটিত হইল। সে পত্রে ইংরাজ আবার সাহস পাইলেন। রাজা মাণিকচাঁদ যে যথাশক্তি ইংরাজের সহায়তা করিতে কৃতসংকল্প হইয়াছেন, তাহার নিদর্শন পাইতে বিলম্ব হইল না;—ফলতায় বাজার বসিল, ইংরাজের অন্নকষ্ট দূর হইয়া গেল।[২]

  1. পলাশির যুদ্ধকাব্য।
  2. The same day there came another letter to the Major by Coja Petross and Abraham Jacobs from Raja Manik Chand of the 2nd. inst. at Allinagore (Calcutta) with many compliments and the strongest assurance of his assistance. He sent at the same time a boat with a dustick with orders for the opening a bazar and for the supplying us with provisions of all kinds.—Consultations, 5 September, 1756.