পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৮
সিরাজদ্দৌলা
করবে। মহাপুরুষের অভিশাপ, সে অভিশাপ কখনও খণ্ডন হবে না। মোগলবংশ উচ্ছেদের জন্য ইংরাজ ভারতবর্ষে এসে উপস্থিত।

করিমের পুনঃ প্রবেশ

করিম। সূর্য্যোদয় হয়েছে, চাচারা বোধ হয় বারাণসী তুল্য গঙ্গার পশ্চিম পার হ’তে গঙ্গা দর্শন ক’রে নবাব দর্শনে আসছেন। চাচারা কেঁদে এখনি লুটোপুটি খাবে, আমায় শান্ত করতে হবে। ঐ যে সব চোখ ডব্ ডব্ করছে, কাণা মেঘের জল কোথায় লাগে!

মীরজাফর, রায়দুর্ল্লভ, রাজবল্লভ জগৎশেঠ, মহাতাবচাঁদ ও
স্বরূপচাঁদের পুনঃ প্রবেশ

সকলে। জগদীশ্বর রক্ষা করুন, এই যে নবাব!
রায়দুঃ। বড়ই ব্যাকুল হয়েছিলেম!
জগৎ। ভগবান রক্ষা করেছেন!
করিম। এখন তো প্রাণটা ঠাণ্ডা হলো। আমি রুমাল বাগিয়ে রেখেছিলুম, ভেবেছিলুম, চাচারা কাঁদবে, চোখ মোছাবে কে?
সিরাজ। রাজা রায়দুর্লভ! এই দণ্ডে সন্ধির প্রস্তাব ক’রে, ইংরাজশিবিরে দূত প্রেরণ করুন। যে স্বত্বে ইংরাজ সন্ধি করতে প্রস্তুত, সেই স্বত্বে সন্ধি হোক।
মীরজাঃ। জনাব,—
সিরাজ। আর জনাব নয়। কাল-রজনী প্রভাত হয়েছে,—সূর্য্যোদয়ে প্রকৃতিস্থ হয়েছি। বুঝেছি ইংরাজ সামান্য নয়; এ অপেক্ষা শতগুণ সৈন্য ল’য়ে ইংরাজ পরাস্ত করা আমাদের সাধ্য নয়। এই দণ্ডেই সন্ধি হোক্। তোমরা এই স্থানে অবস্থান করো, সন্ধি-পত্র আমাদের নিকট প্রেরণ ক’রো; আমরা স্বাক্ষর কর্‌বো। আর