পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অঙ্ক brసె দিয়েছিলুম,—এই জানি। তারপরে বাবা, নবাব হ’য়ে চোখ ফুটোফুটি খেলছি। তা তো কোন ব্যাটা সেলাম দিতে এলো না । মোহন । শুনছি না কি নবাব ধরা পড়েছেন ? তারে মুর্শিদাবাদ এনেছে ? করিম। তবে যদি করিম চাচা জুতোর জন্যে ধরা পড়ে থাকেন। জুতোর মহিমা তখন বুঝেও বুঝলুম না। ভাব লুম, কড়া জুতো পায়ে দিয়ে নবাব হাট তে পারবে না। এখন পাগড়ির মান গিয়ে, দিন দিন জুতোর মান বাড়তে চললো। এখন পাগড়িতে নয়, পোষাকে নয়, ভদ্রলোক ছোটলোক জুতোয় পরিচয় দেবে। মোহন। করিম চাচা, তুমি যথার্থ রাজভক্ত ! তুমি আপনি বিপন্ন হয়ে, নবাবকে বাচাবার চেষ্টা পেয়েছ । করিম । বাবা, ঘরে বসে এমন চেষ্টা অনেকেই করে। যদি ধর্তো, খানিকক্ষণ তো নবাবী চলতো । নবাবীর জন্য সব মেতেছে, আমারও তো নবাবী প্রাণ। তা দেখ, তুমি স’রে পড়ে। ঐ কারা আসছে, বল্লুম যে, তোমার মাথারও দর চড়া । রায়দুলভ ও চারিজন সৈন্যের প্রবেশ ১ম সৈন্ত । এই যে মোহনলাল—এই যে মোহনলাল— রায় দু: ধরো, ধরো—বাধো । মোছন । রায়দুর্লভ, আমায় ধরবার প্রয়াস পেয়ো না । তুমি ভীরু, বিশ্বাসঘাতক অগ্রসর হয়ে না । তোমায় বধ ক’লে আমার অস্ত্রের কলঙ্ক ! রায় দুঃ। ধন্থ—দাড়িয়ে রইলে কেন ? ১ম সৈন্ত। মহারাজ, লোক ডেকে আনি, আমরা ক’জনে পায়বে না। রায় ছুঃ । ভীরু ! ( মোহনলালের দিকে অগ্রসর হওন )