পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
সিরাজদ্দৌলা
উজির। আমার বোধ হয়, কলিকাতায় ইংরাজের সহিত কোনও বিবাদ হয়ে থাকবে। যদি আমার অনুমান সত্য হয়, আমাদের পক্ষে বড় শুভ। বাদসাহি সনন্দ আনা নিতান্ত প্রযোজন। নচেৎ নবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধে, প্রজারা আমাদের পক্ষ হবে না। কিন্তু দিল্লীতে উৎকোচ প্রদানের নিমিত্ত অর্থের প্রয়োজন। সকতজঙ্গ বাহাদুরের অপব্যয়ে তো ধনাগার শূন্য।
মীরণ। চিন্তা কি? জগংশেঠ মহাতাবচাঁদ সে অর্থ দিতে কুণ্ঠিত হবেন না। এ প্রস্তাব হয়েছিলো, পিতাও শেঠজীকে অনুরোধ করেছেন।
 উজির। আসুন আসুন মন্ত্রণা-গৃহে আসুন। এ সকল গুহ্য আন্দোলন এ স্থানে প্রয়োজন নাই।
উভয়ের প্রস্থান

চতুর্থ গর্ভাঙ্ক

মুর্শিদাবাদ—নবাব-অন্তঃপুরস্থ বেগম-কক্ষের সম্মুখ

লুৎফউন্নিসা

লুৎফ। নবাব এখনো আসছেন না কেন? এখনি ওয়াট্‌সের মেম আসবে। আজ তিন দিন এসে স্বামীর উদ্ধারের জন্য কাঁদাকাটি কচ্ছে, আজ মেম এলে বড় অপ্রতিভ হব।

ওয়াটস-পত্নীর প্রবেশ

ওয়াটস-পত্নী। (জানু পাতিয়া) বেগম সাব—বেগম সাব—বাঁদীর আজ্জি কি মঞ্জুর হইল? আমার জানের জান দুখ পাইল, কেমন করিয়া চব্বিশ ঘণ্টা সইবো, আমি খানাপিনা ছাড়িয়া দিয়াছে।