এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
৫৪
নবাব এখন প্রকৃত প্রজাপালক। বৃদ্ধ নবাবের মৃত্যুর পর যৌবনসুলভ চপলতা আর নাই; মদ্যপান পরিত্যাগ করেছেন, অসৎসঙ্গীদের বিদায় দিয়েছেন। প্রজার মঙ্গল তাঁর একমাত্র কামনা।
লছমন। ঐ ফকির আস্ছে।
দানসার প্রবেশ
মোহন। ফকিরজি সেলাম!
দানসা। সেলাম তো বটে! আমোদ কত্তিচ, নবাবটা আস্তিছে, হুশ রাখো না। সহরে কোতল হুকুম দিচে, কারো গর্দ্দান থাক্পে না।
মোহন। বটে ফকিরজি বটে!
দান্সা। হঃ—খালি কাট্তি কাট্তি আস্তিচে। জোয়ান মেয়ে ছেলেটা পেলি জাত খাতিচে। প্যাটে পোয়ে দেখ্লেই প্যাট চিরে দেখ্তিচে—প্যাটে ছ্যালেটা কেমন থাহে!
মোহন। বটে ফকির সাহেব বটে!
দানসা। বিশখানা লায়ের মদ্দি আদ্মি ভত্তি করি, দরিয়ার বিচে ডোবাইচে; হাপইয়ে জল খাইয়ে কেমন মরে দেখ্তিচে! ঘরের মদ্দি আদ্মি পুরে তালা লাগাইয়ে, আগুন ধরাইচে; আদ্মিগুলো জ্বালার চোটে চ্যাল্লাচ্চে, শুন্তিচে আর হাস্তিচে!
মোহন। তবে ফকির সাহেব—কি হবে ফকির সাহেব!
দানসা। যাও—মোর সলানী শুনো। বালবাচ্চা নিয়ে পূর্ণিয়া যাও তোমায় জোয়ান দেখতিচি, সকতজঙ্গের ফৌজ হও যাইয়ে। খেলাত পাবা, টাকা পাবা, আর জুয়ান ব্যাটার মত কদরে থাক্বা।
লছমন। আর বুড়োদের কি কচ্ছে?
দানসা। মাটীর মদ্দি আদ গাড়ি কুত্তা খাওয়াচ্চে!
মোহন। কেন বল দেখি ফকিরজি, এত দৌরাত্ম্য কেন কচ্ছে?