পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরফরাজ খানের হস্তগ৬, ২ইল। কিন্তু এই যুদ্ধে তাহার একমাত্র বীরপুত্র আলী হায়দার খান যুদ্ধ করিডে করিতে সমরক্ষেত্রে পতিত হইলেন। এদিকে শিবাজী আরও মাশুয়ালী ও মারাঠা সৈন্যদল সংগ্ৰহ করিয়া পুনরায় নবীন উদ্যম এবং বিপুল তেজে দূৰ্ণ আক্রমণ করিলেন। আবার ভীষণ যুদ্ধ আরম্ভ হইল। দুর্গ-প্রাচীর ভগ্ন করিবার জন্য মারাঠা গোলান্দাজগণ অনবরত এক স্থান লক্ষ্য করিয়া গোলা নিক্ষেপ কৱিতে লাগিল। সরফরাজ খান, তাহার সেনাপতি মোতামদ খান এবং কন্যা আমিনা বানু দুর্গের প্রাচীরের উপরে তোপ পাতিয়া শত্রুসৈন্য সংহারের BD gKtiE LLS DDDB BBDBDLSSSDDDD BBD DDBB BBB উত্তেজনাপূর্ণ সঞ্জীবনী বাণীতে কৃষ্ণগড়ের সৈন্যদলের মধ্যে প্রবল উৎসাহ ও বীরত্বের সঞ্চার হইল। কৃষ্ণগড়ের গোলন্দাজগণের অব্যৰ্থ লক্ষ্যে শিবাজীর সৈন্যদল যখন ছিন্ন ভিন্ন হইয়া পড়িবার উপক্রম হইল, ঠিক সেই সময় একটি শেল আসিয়া বীরপুরুষ সরফরাজ খানের স্কন্ধাদেশে পতিত হইল। সেই শেলের দারুণ আঘাতে তাহার দেহ একেবারে চূর্ণ-বিচূর্ণ হইয়া উড়িয়া গেল। সৈন্যদলে DBD DDDBD B gDBD DDS EBKK DBLBDB BBBBD DDD নিধনবার্তা অবগত না হইতে পারে, তজ্জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বিত হইল। গভীর রাজনীতে পরামর্শ-সভা আহুত হইল। মোতােমদ খান এবং অন্যান্য প্ৰধান প্রধান ব্যক্তিগণ নিরাশ হইয়া শিবাজীৱ সহিত সন্ধি করিবার প্রস্তাব করিলেন। সরফরাজ খানের পত্নী হামিদ বানুও সন্ধির প্রস্তাবে সম্মত হইলেন, কিন্তু বীর্যবতী কুমারী আমিনা বানু বলিলেন : “বিধর্ম ও বেঈমান কাফেরের সহিত সন্ধি অপেক্ষা যুদ্ধ করাই ভালো। আমাদের প্রেরিত দূত বিজাপুরে পৌঁছে থাকলে, নিশ্চয়ই এতদিনে সোলতান-বাহিনী আমাদের সাহায্যের জন্য রওয়ানা হয়েছে। এ সময় হীন শর্তে সন্ধি করলে, পরে পস্তাতে হবে। শিবাজী যেমন, যখন ইচ্ছা সন্ধি উল্লঙ্ঘন করতে দ্বিধাবোধ করেন না, স্বাভাবিক ধর্মভীরুতার জন্য আমাদের পক্ষে সেরূপ করা সম্ভব হবে না। সুতরাং তবিষ্যতে আমরা শক্তিশালী হলেও এই বেইমান ও অসভ্য কাফেরদিগের অধীনে বহু হীনতা ও নীচতা স্বীকার করতে হবে। সুতরাং কমবাশ্বত মারাঠা কাফেরের সঙ্গে যুদ্ধ করাই সর্বতোভাবে FIF5 | “যুদ্ধে যদি জয়লাভ করি, শত্রুর নিপাত হবে। আর যদি মৃত্যুমুখে পতিত হই, তাহাও মহাসৌভাগ্যের কারণ হবে। কারণ, মহাপুরুষ হজরত মোহাম্মদ (দঃ) বলেছেন, "যুদ্ধ করতে করতে যে মৃত্যু, তাহাই শ্ৰেষ্ঠ মৃত্যু। এরূপ মৃত্যু মানুষকে বিনা হিসাবে বেহেশতে লয়ে যাবে।” সুতরাং সকলে যুদ্ধের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত হউন। আমার বিশ্বাস, চরম বিক্রমে আক্রমণ করলে, শত্ৰুগণ নিশ্চয় পৰ্যদন্ত হয়ে পলায়ন করতে বাধ্য হবে।”