পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরুণসিংহের করেই সমর্পণ করব। আশা করি; অন্তত দুৰ্গম বিরোধী হবে না। আমি যখন তােমার অনুরোধে স্বর্ণবাঈকে রুমী খীর হন্তে দান করতে স্বীকৃত হচ্ছি, তুমিও তখন আমার অনুরোধে রুক্মিণীকে জয়পুরের যুবৰাজ-করে অর্পণ করতে সম্মত হও । রানী ; সোলতান রোকনউদ্দীন যদি এতে অসন্তুষ্ট বা বিরক্ত হন, তবে বড়ই প্ৰমাদ। জয়পুর অপেক্ষা মালবপতির সহিত মিত্ৰতা রক্ষা করাই অধিকতর 지 1 রাণ ৪ সে যা হােক, তর্ক-বিতর্ক করে তোমার সাথে জিতবার শক্তি নাই । তবে আমার অনুরোধ যে, তুমি এ বিষয়ে আমার মতেই মত দাও। রানী ঃ আচ্ছা, তোমার মতেই মত দিচ্ছি। কিন্তু ভবিষ্যতে এই ব্যাপার নিয়েই আবার একটা যুদ্ধ-বিগ্ৰহ না ঘটে, এই ভাবনায় আমি অস্থির হচ্ছি। নবম পরিচ্ছেদ যথাসময়ে রাজকীয় আড়ম্বর ও ধুমধামের সহিত স্বর্ণবাঈ-এর সঙ্গে রুমী খাঁর এবং রুক্মিণীবাঈ-এর সঙ্গে জয়পুরের যুবরাজ অরুণসিংহের উদ্বাহীক্রিয়া সম্পন্ন হইয়া গেল। রুক্মিণীবাঈ অরুণসিংহকে বিবাহ করিতে একেবারেই নারাজ ছিলেন। অনেক সাধ্য-সাধনা করিয়া, কলা-কৌশল খাটাইয়া রুক্মিণীবাঈকে কোনও রূপে জোর-জবরদস্তিপূবুক জয়পুরের রাজকীয় বাহনে তুলিয়া দেওয়া DD SSDBB DBDBB BBB DBB S BB DDL DDDD DDD হইলেন। আতসবাজী পোড়াইতে পোড়াইতে, তোপ ও বন্দুক ছড়িতে টুড়িতে অরুণসিংহ রুক্মিণীবাঈকে লইয়া জয়পুরাভিমুখে রওয়ানা হইলেন। বিবাহের সমন্ত উৎসবই রুক্মিণীবাঈ-এর চক্ষে একান্ত বিষময় ও পীড়াদায়ক বলিয়া প্রতীয়মান হইতে লাগিল। সখীগণ এবং ধাত্রীমাতা রুক্মিণীকে নানারূপ প্ৰবোধবচনে বুঝাইতে লাগিল; কিন্তু তাঁহাদের সেই সমস্ত উপদেশের এক বাক্যও রুক্মিণীর কৰ্ণে প্ৰবেশ করিল বলিয়া বোধ হইল না। জয়পুরের রাজঅন্তঃপুরে রুক্মিণীর মনোরঞ্জনের জন্য নানা প্রকারের রঙ্গরস ও আমোদপ্ৰমোদের বন্দোবন্ত হইল। সখীরা প্ৰাণপথ যত্ন এবং চেষ্টায় রুক্ষিণীবাঈ-এৰ মােনর গতি কিরাইবার জন্য প্ৰয়াস পাইতে লাগিল । গান-বাদ্য আমোদ-আহ্লাদ এবং নানা প্রকারের তামাসার আয়োজন হইতে লাগিল। উদ্যান-বিহার, নৌ-বিহার এবং বন-বিহারের নূতন নূতন ধরনের আয়োজন হইতে লাগিল। অরুণসিংহ কুমারী রুমিণীবাঈ-এর মনোরঞ্জনের জন্য $6ሎ