পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

st 1 W! UM všIS VITH visu GNVS ফকির অতি কটে আত্মসম্বরণ করিয়া কৃত্রিম বিস্ময়ের সহিত বলিলেন, “তা' হােক, আমার সহিত রাজকুমারীর কি সম্পর্ক আমার মৃগী রোগ আছে। মধ্যে भशा श्लेर भूरी शाई।" কমী খাঁ বলিলেন ; কুমার। আর আত্মগোপন নিম্প্রয়োজন। আপনি শাহজাদা নূরউদ্দীন! আমার অপরাধ মার্জন করুন। আমি শৈশবে আপনাকে দেখেছিলাম, কাজেই এত দীর্ঘকাল পরে এইরূপ ফকিরের বেশে দেখে সহসা চিনতে না পারলেও মনে মনে সম্মেহ ছিল । এই বলিয়া রুমী খাঁ ফকিরবেশী শাহজাদা নূরউদ্দীনকে বুকের ভিতরে টানিয়া লাইলেন। কুমারও, রুমী খাঁর বক্ষসংলগ্ন হইয়া অজস্র অশ্রুপাত করিতে লাগিলেন । এই করুণ দৃশ্যে সকলের চিত্ত অত্যন্ত ব্যথিত এবং সন্তপ্ত হইয়া উঠিল। রুমী খাঁ নানাবিধ প্ৰবোধবাক্যে কুমারকে সাস্তুনা দিতে লাগিলেন। রাজকুমারীর বিশুদ্ধ প্রেমের একনিষ্ঠ সাধনার কথা তুলিয়া বলিলেন : “সেই দুৰ্যোগময়ী রজনীতে অরুণ সিংহের কবল হতে আত্মরক্ষার জন্য কুমারীর পক্ষে পলায়ন করাও অসম্ভব নহে। সুতরাং রুক্মিণীর সম্বন্ধে মৃত্যুর ধারণা করা কদাপি সঙ্গত নহে। আমার প্রবল বিশ্বাস, কুমারী জীবিতা আছেন—নিশ্চয়ই জীবিতা আছেন।” নূরউদ্দীন বলিলেন : “হায় সেনাপতি!! রুক্মিণীর জন্য আমার উপর দিয়ে যে কি বিপদের ঝঞাই প্রবাহিত হচ্ছে, তা” ভাষায় প্রকাশ করবার ক্ষমতা নাই। পিতা আমাকে কঠোর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। সুলতান আহমদ শাহের কন্যাকে বিবাহ করতে অস্বীকৃত হওয়ায় কঠোর নির্যাতন করেছেন। আমার শরীর-মন ভেঙ্গে পড়েছে। মাতা দয়াপরবশ হয়ে নিজের মন্তকে রাজদণ্ড ও রাজরোষের দায়িত্ব নিয়ে আমাকে কারামুক্ত করে দিয়েছেন। আমি রুক্মিণীর শোকে দিওয়ানা বনে গিয়েছি। হৃদয়ের কণায় কণায় কি তীব্ৰ দাহন। অন্তরের অন্তরে কি তীব্র আকর্ষণ! মৃত্যুর পরপরেও বােধহয় এর উপশম নাই। সেনাপতি বলিলেন, ঃ রাজকুমারীর অবস্থাও তথৈবচ। তিনিও আপনার প্রেমে DDDD DBDBBD SS YBBB LBD BDB D DD DD BDBLBL D উৎপীড়ন হয়েছে। অরুণসিংহের প্রতি অনুরক্ত করবার জন্য কত হােম, কত পূজা, কত গীতবাদ্য, কাম-উত্তেজক ঔষধ, কত মন্ত্ৰ-তন্ত্র, কত কাঞ্চকারখানা, কত কারসাজি যে করা হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু ধন্য রাজকুমারীর একনিষ্ঠ গ্রেমের সাধনা! কিছুতেই আপনার প্রতি প্রেমের তপশ্চৰ্যা হতে বিন্দু পরিমাণেও কেউ তাকে বিচলিত করতে পাৱে নাই। তাঁর একনিষ্ঠ প্রেমের কথা 8SR