পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোকের সম্মুখে কাঁদিতে পারে না। রাণীও সেই প্রকৃতির ছিলেন। তিনি উঠিয়া অন্য ঘরে গেলেন। সেই নির্জন গৃহে যাইয়া তাঁহার রুদ্ধপ্রাণের উচ্ছাস একেবারে গুমরিয়া উঠিল। রাণী কাঁদিতে লাগিলেন। বাস্তবিক রাণী যুগপৎ পুত্ৰ-শোক ও কনা-শোকে অভিভূত হইয়া পড়িলেন। এদিকে অরুণাবতী নানা প্রকার মিষ্টান্ন এবং ফলমূলে স্বর্ণখালা ও রৌপ্যবাটি সাজাইয়া মাহতাব খাঁর সম্মুখে উপস্থিত করিল। মাহতাব খাঁ প্ৰায় দুই বৎসর পরে অরুণাবতীকে দেখিলেন। দেখিয়া aBBB DDDL LBDD DDD DBD LEBB SS D DDDD BBD DDBBD BBB স্বপ্নাতীত রাজ্যে উপনীত হইলেন; তিনি দেখিলেন, অরুণাবতীর সর্বাঙ্গ আশাতীতরূপে পরিপুষ্ট। সমস্ত শরীরে যৌবন উথলিয়া পড়িতেছে। কৃতজ্ঞতার ডাগর আঁখিতােট শত শত বিদ্যুৎ ক্রীড়া করিতেছে। দেহলতিকা, জ্যোৎস্নাফুল্প রজনীগন্ধর ন্যায় ফুটিয়া গর্বভরে বৃন্তের উপর ঈষৎ হেলিত অবস্থায় যেন দণ্ডায়মানা। অরুণাবতী যদিও পূর্বে শত শতবার মাহতাব খাকে দেখিয়াছে, তাহার ক্রোড়ে উঠিয়াছে, তাহার সহিত কতদিন নদীতটো ভ্ৰমণ করিয়াছে, কিন্তু আজ সে মাহতাব খাকে যেমন অপূর্ব সুন্দর সুঠাম রমণীয় কান্তি লোভনীয় পুরুষরূপে দেখিতেছে, পূর্বে সে কখনও তেমনটি দেখে নাই। মাহতাব খাই যে তাহার প্ৰেম-দেবতা হইবেন, তাহার পাণিতেই যে পাণি মিশাইতে হইবে, অরুণাবতী তাহা নানা সূত্রেই বেশ ভাল করিয়া শুনিয়াছিল এবং সেই সূত্রে অরুণাবতীর হৃদয় মাহতাব খাঁর অনুরাগে পরিপূর্ণ হইয়া গিয়াছিল। অরুণাবতী যখন সেই পরিপূর্ণ প্রেমের দৃষ্টিতে মাহতাব খাকে দেখিতেছিল—তখন খাঁ সাহেব যে তাহার চক্ষে অদ্বিতীয় পুরুষরত্ন বলিয়া প্রতিভাত হইবেন, তাহাতে আর আশ্চৰ্য কি? প্রেম যখন অসুন্দরকে সুন্দর করে—মরুকে উদ্যানে পরিণত করে-অগ্নিকে তুষার, নীরসকে সরস এবং অপবিত্রকে পবিত্র করে, তখন স্বাভাবিক সুন্দর বা সাহেব যে অপার্থিব সুন্দর বলিয়া অরুণাবতীর চক্ষে প্রতিভাত হইবেন তাহাতে আর সন্দেহ কি? উদ্যার দৃষ্টি যেমন আকাশকে আরুণিমাজাল বিভূষিত করে-বসন্ত যেমন বিগত শ্ৰী উদ্যানকে উদ্যানকে স্বগীয় শ্ৰীমণ্ডিত ফুল্লফুলদলে বিশোভিত করে, রজনী যেমন আঁধারে আকাশে তারকামালা ফুটাইয়া অপার্থিব সৌন্দৰ্য প্রদর্শন করে-প্রেমও তেমনি প্রেমাম্পদকে অলৌকিক সৌন্দর্য, অসাধারণ গুণ এবং অপার্থিব মহিমায় বিভূষিত, বিমণ্ডিত এবং विभाडिट कप्न । भादछाद बी ठाशद्र द्धिदूदन-cभादिनी नृष्टि जनानिक কিরাইতেছে। লজ্জা-রাগে তাহার বদনমণ্ডল আৱক্ত হইয়া যাইতেছে। আবার মাহতাব খ্যা নত আঁখিতে আহারে রত হওয়া মাত্ৰেই, অরুণাবতীৱ চঞ্চল ও পিপাসাতুর আঁখি তাহার মুখে দৃষ্টি স্থাপন করিতেছে। আবার আঁখিতে আঁখি পড়া মাত্রই দৃষ্টি অন্য বিষয়ে পতিত হইতেছে এবং হৃদয় ফুলিতেছে, শরীর শিহরিত হইতেছে, মন দুলিতেছে। প্ৰাণের তীব্ৰ চৌম্বক আকর্ষণ উভয়ের হৃদয়কে এত By