পাতা:সিরাজী উপন্যাস সমগ্র.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাতাস দুটিতেছে। এ জগতে দুটিতেছে না কে জগৎ পর্যন্ত, বিশ্ব ব্ৰহ্মাণ্ড পর্যন্ত দুটিয়া চলিয়াছে। অনন্তকাল হইতে দুটিতেছে, অনন্তকাল দুটিবে। এ ছোটার কিছু শেষ নাই, সীমা নাই। রজনী পূর্ব গোলার্ধ ত্যাগ করিয়া পশ্চিম গোলার্ধে ছুটিল—উষার শুভ্ৰ আলোক-রেখা দুটিয়া আসিয়া অম্বর-অঙ্গ-বিলম্বিত শ্বেত পতাকার ন্যায় ফুটিয়া উঠিল। নদীব্যক্ষ ঈষৎ আলোকিত হইল। শীতল-সলিলশীকর-সিক্ত-মৃদু-সমীরণ নায়ক-নায়িকার বাবরী দোলাইয়া কুন্তল উড়াইয়া প্রতি মুহুর্তে ছুটিয়া চলিল। মাহতাব খার ঈষৎ স্বৰ্ণােভা-মণ্ডিত শুভ্ৰ-রািজত-ফলকবৎ ললাটদেশে গুরুশ্ৰেমে বিন্দু বিন্দু ঘর্ম ফুটিয়াছে। মাহতাব খাঁ দাঁড় তুলিয়া সম্মুখের দিকে স্থির ও দূরগামিনী দৃষ্টিতে চাহিলেন—দেখিলেন, দূর-অতিদূরে একখানি প্ৰকাণ্ড নীেকায় কয়েকটি বাতি জ্বলিতেছে! হৃদয় কাপিয়া উঠিল—আবার দেখিলেন,-পকেট হইতে দূরবীণ বাহির করিয়া দেখিলেন। যাহা দেখিলেন, তাহাতে বুঝিলেন বিপদ আসন্ন। অরুণাবতীও দেখিল, একখানি নীেকা তীরের মত ছুটিয়া আসিতেছে। খালি চোখে নীেকা দেখা যাইতেছে না, কেবল আলো দুটিয়া আসিতে দেখা যাইতেছে। অরুণাবতী ব্যাঘ্ৰসন্দর্শনভীতা মৃগীর ন্যায় केलिगा टर्लिंल। মাহতাব খাঁ প্ৰকৃত বুদ্ধিমান বীরপুরুষের মত মুহুর্ত মধ্যে চিত্ত ও কর্তব্য স্থির করিয়া ফেলিলেন। অরুণাকে বলিলেন, “অরুণে! ব্যাকুল হাইও না, আল্লাহু আছেন। আমাদের নীেকায় বাতি নাই, সুতরাং ওরা আমাদিগকে দেখতে পায় নাই। চল, নদীর তীরবতী জঙ্গলে আশ্ৰয় লওয়া যাক। নীেকা বেয়ে ওদের হস্ত অতিক্রম করা অসম্ভব। মুসলমান কখনও শত্রু দেখে আত্মগোপন করে না, কিন্তু আজ আত্মগোপন না করলে অমূল্য কোহিনূর তোমাকে রক্ষা করতে পারব না। নৃপকিরীট-শীর্ষ-শোভী কোহিনূর কখনও কুকুরের গলায় অৰ্পণ করব না। অরুণা! তুমি আর বিলম্ব করো না, সমস্ত দ্রব্য গুছিয়ে পেটিকা-বদ্ধ করা। আমি এখন নীেকা তীরে লাগাচ্ছি।” অতি অল্প সময়ের মধ্যেই নৌকা তীরে লাগিল। মাহবতাব বা দ্রুত নামিয়া রজ্জ্ব দ্বারা একটি বৃক্ষমূলে নৌকা বাঁধিলেন। তৎপর দুইজনে সমস্ত জিনিষপত্র নামাইয়া জঙ্গলের মধ্যে জমা করিলেন। সমস্ত দ্রব্য তথায় পুঞ্জীকৃত করিয়া BDBBD DDD S BDBDD DBDBuSuBDDB BD DBBDB BB BBD DDDD দিলেন । বামনীর উভয় পাৰ্ম্মে সেই স্থলে বহুদূরব্যাপী অরণ্য, নিকটে কোথাও লোকালয় নাই। জঙ্গলে নানা জাতীয় বৃক্ষ। জঙ্গল এমন নিবিড় এবং বিশাল ছিল যে, তখন এখানে দলে দলে মুগ বিচবণ এবং ব্যাঘ্ৰ গর্জন করিত। পূর্বে শিকার উপলক্ষে দুই তিনবার মাহতাব খাঁ এ-জঙ্গলে পদার্পণ করিয়াছিলেন, তাই তিনি এ-কাননের বিষয় অবগত ছিলেন। খাঁ সাহেব জিনিসপত্র একস্থানে রাখিয়া Wy