পাতা:সীতার বনবাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
সীতার বনবাস

শোভা সম্পন্ন হইয়াছে। এই স্থানে আর্য্য একান্ত বিলচিত্ত হইয়াছিলেন। শুনিয়া, পূর্ব্ব অবস্থা স্মৃতিপথে আরূঢ় হওয়াতে, রাম একান্ত আকুলহৃদয় হইয়া বলিলেন, বৎস, বিরত হও, বিরত হও; আর তুমি মাল্যবানের উল্লেখ করিও না; শুনিয়া, আমার শোকসাগর, অনিবার্য্য বেগে, উথলিয়া উঠিতেছে; জানকীর বিরহ পুনরায় নবীভাব অবলম্বন করিতেছে। এই সময়ে, সীতার আলস্যলক্ষণ আবির্ভূত হইল। তখন লক্ষণ বলিলেন, আর্য্য, আর চিত্রদর্শনের প্রয়োজন নাই; আর্য্যা জানকীর ক্লান্তিবোধ হইয়াছে। এক্ষণে উঁহার বিশ্রামসুখসেবা আবশ্যক; আমি প্রস্থান করি, আপনারা বিশ্রামভবনে গমন করুন।

 এই বলিয়া বিদায় লইয়া, লক্ষ্মণ প্রস্থানোম্মুখ হইলে, সীতা রামকে বলিলেন, নাথ, চিত্র দেখিতে দেখিতে, আমার এক অভিলাষ জন্মিয়াছে, আপনাকে তাহা পূর্ণ করিতে হইবে। রাম বলিলেন, প্রিয়ে, কি অভিলাষ, বল, অবিলম্বেই সম্পাদিত হইবে। তখন সীতা বলিলেন, আমার অভিলাষ এই, পুনর্বার মুনিপত্নীদিগের সহিত সমাগত হইয়া, তপোবনে. বিহার ও নির্মল ভাগীরথীসলিলে অবগাহন করিব। সীতার অভিলাষ শ্রবণগগাচর করিয়া, রাম লক্ষ্মণকে বলিলেন, বৎস, এই মাত্র গুরুজন আদেশ করিয়া পাঠাইয়াছেন, জানকী যখন যে অভিলাষ করিবেন, তৎক্ষণাৎ