পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম অধ্যায়। Ye:S অকস্মাৎ এই বাক্য শ্রবণ করিয়া বিস্ময়বিমূঢ়া সীতা সিংহীর ন্যায় গর্জন করিয়া উঠিলেন। সহসা তাছার মূৰ্ত্তি অগ্নিময়ী, হস্ত মুষ্টিবদ্ধ, চক্ষু ভ্ৰকুটসম্পন্ন, নাসা বিস্ফারিত, দেহ দীর্ঘায়ত ও কেশপাশ আলুলায়িত হইল । ক্রোধে তাহার সর্বাঙ্গ বিকম্পিত হইতে লাগিল । তিনি রোবভরে কিয়ৎক্ষণ বাঙ নিস্পত্তি করিতে সমর্থ হইলেন না, পরে দুরাকাঙ্ক রাবণের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন পূর্বক কছিলেন “রে হ্রাত্মন, যিনি হিমাচলের ন্তায় স্থির, এবং সাগরের ন্তায় গম্ভীর, সেই দেবারাজতুল্য রাম যথায়, আমি সেই স্থানে যাইব। যিনি বটবৃক্ষের ন্তায় সকলের আশ্রয়, যিনি সত্যপ্রতিজ্ঞ কীৰ্ত্তিমান ও মুলক্ষণ, সেই মহাত্মা যথায়, আমি সেই স্থানে যাইব । যাহার বাহুযুগল সুদীর্ঘ, বক্ষঃস্থল বিশাল, ও মুখ পূর্ণচন্দ্রের ন্যায় কমনীয় ; যিনি সিংহতুল্য পরাক্রান্ত ও সিংহবৎ মন্থরগামী, সেই মনুষ্যপ্রধান যথায়, আমি সেই স্থানে যাইব । রাক্ষস, তুই শৃগাল হইয়া দুর্লভ সিংহীকে অভিলাষ করিতেছিস্ ? যেমন স্বৰ্য্যের প্রভাকে স্পর্শ করা যায় না, সেইরূপ তুই আমাকেও স্পর্শ করিতে পারিবি না। নীচ, যখন রামের প্রিয়পত্নীতে তোর স্পৃহা জন্মিয়াছে, তখন তুই নিশ্চয়ই স্বচক্ষে বহুসংখ্য স্বর্ণবৃক্ষ দেখিতেছিস্ ; তুই ক্ষুধাতুর সিংহ ও সর্পের মুখ হইতে দন্ত উৎপাটনের ইচ্ছা করিতেছিল, স্বচীমুখে চক্ষু মার্জন এবং জিহব। দ্বারা ক্ষুর লেছনের অভিলাষ করিতেছিস্ ! তুই কণ্ঠে শিলা বন্ধন পূর্বক সমুদ্রসস্তরণ, প্ৰজলিত অগ্নিকে বস্ত্রে বন্ধন, এবং লৌহময় শূলের মধ্যদিয়া সঞ্চরণ বাসনা করিতেছিস্ ! দেখু, সিংহ ও শৃগালের যে অন্তর, সমুদ্র ও ক্ষুদ্ৰনদীর যে অন্তর, সুবর্ণ ও লৌহের যে অন্তর, - গরুড় ও কাকের যে অন্তর, হস্তী ও বিড়ালের যে অন্তর, এবং হংস ও গৃত্ত্বের যে অন্তর, রামের এবং তোরও সেইরূপ অন্তর । তুই আর কিয়ৎকাল অপেক্ষা কর, এখনই ধনুৰ্ব্বাণধারী রামচন্দ্র, বীর লক্ষ্মণের