পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায় । אאל অত্যন্ত শঙ্কিত হইয়া প্রাণাস্তকর ভীষণ শর পরিত্যাগ করি নাই। পাছে আমাদের মূলে আঘাত হয়, আমার মনে এই সন্দেহই হইয়াছিল । * * * সৰ্থে, অধিক আর কি বলিব, আমি লক্ষ্মণ ও জানকীর সহিত, তোমারই আশ্রয়ে আছি; এই অরণ্যমধ্যে তুমিই ৷ আমাদিগের গতি। এক্ষণে পুনৰ্ব্বার গিয়া নিৰ্ভয়ে দ্বন্দ্বযুদ্ধে প্রবৃত্ত হও, তুমি এই মুহূর্তেই দেখিবে বালী আমার একমাত্র শরে নিরস্ত হইয়া ভূতলে লুষ্ঠিত হইতেছে।” (৪৷১২) এই বলিয়া রামচজ সুগ্ৰীবকে চিহ্নিত করিবার জন্ত তাহার কণ্ঠে এক কুসুমিত নাগপুষ্পী লতা বন্ধন করিয়া দিলেন। অনস্তর সকলে পুনৰ্ব্বার কিষ্কিন্ধায় উপনীত হইলেন । সুগ্ৰীব সিংহনাদ ত্যাগ করিয়া বালীকে আবার যুদ্ধে আহবান করিলেন। বালী সুগ্ৰীবকে পুনরাগত দেখিয়া ক্রোধকষায়িতলোচনে মহাবেগে গৃহ হইতে বহির্গমন করিতে লাগিলেন। তারা বালীর মহিষী ; তিনি অতিশয় পতিপ্রণয়িনী ও বুদ্ধিমতী ছিলেন। সুগ্ৰীব কিয়ৎক্ষণ পূৰ্ব্বে যুদ্ধে পরাজিত হইয়। পলায়ন করিয়াছিলেন, আবার তিনি কিষ্কিন্ধায় আসিয়া বালীর সহিত যুদ্ধ প্রার্থনা করিতেছেন, ইহাতে র্তাহার মনে কেমন এক প্রকার বিস্ময় ও আশঙ্কা উপস্থিত হইল। কিন্তু একটা কথা সহসা তাহার স্মৃতিপথে সমুদিত হইয়া গেল। একদিন যুবরাজ অঙ্গদ চরমুখে দশরথতনয় রামলক্ষ্মণের সহিত সুগ্ৰীবের মিত্রতার কথা শ্রবণ করিয়া জননীকে তাহা জ্ঞাপন করিয়াছিলেন। রাম লক্ষ্মণ উভয়েই বীর পুরুষ ; হয়ত র্তাহীদেরই উৎসাহে উৎসাহিত হইয়া সুগ্ৰীব বালীর সহিত পুনৰ্ব্বার যুদ্ধ করিতে সাহসী হইয়াছেন। রাম সুগ্ৰীবের সহায় থাকিলে বালীর অমঙ্গল ঘটিতে পারে, এই বিবেচনা করিয়া বুদ্ধিমতী তারা গমনোদ্যত স্বামীর পথরোধ করিলেন এবং তাহাকে সেই দিন যুদ্ধ না করিয়া গৃহেই অবস্থান S q