পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ সীতা । প্রতি শরনিক্ষেপ করা যে কোনমতেই পৌরুষের কার্য্য নহে, তাহা তিনি অবশুই মনে মনে বুঝিতে পারিয়াছিলেন। কিন্তু তিনি সরলভাবে আপনার দোষস্বীকার না করিয়া কূটযুক্তি পথ অবলম্বন পূৰ্ব্বক আপনার দোষক্ষালন করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । তিনি বালীকে বলিলেন “বীর, আমি তোমার প্রচ্ছন্ন বধসাধন করিয়া কিছুমাত্র ক্ষুঃ নহি, এবং তজ্জন্ত শোকও করি না। লোকে প্রকাশ্য বা অপ্রকাগু ভাবে থাকিয়া বাগুরাপাশ প্রভৃতি নানাবিধ কূটউপায় দ্বারা মৃগকে ধরিয়া থাকে। মৃগ ভীত বা বিশ্বাসে নিশ্চিন্ত হউক, অন্তের সহিত বিবাদ । করুক বা ধাবমান হউক, সতর্ক বা অসাবধানই থাকুক, মাংসাশী মনুষ্য তাহাকে বধ করে, ইহাতে অণুমাত্র দোষ নাই। দেখ, ধৰ্ম্মজ্ঞ নৃপতিরাও অরণ্যে মৃগয়া করিয়া থাকেন ; তুমি শাখামৃগ, বানর ; যুদ্ধ কর বা নাই কর, মৃগ বলিয়াই আমি তোমাকে বধ করিয়াছি। বীর, রাজা প্রজাগণের দুলৰ্ভ ধৰ্ম্ম রক্ষা করেন, শুভ সম্পাদন করিয়া থাকেন, এবং উহাদের জীবনও তাহার সম্পূর্ণ আয়ত্ত। রাজা দেবতা, মনুষ্যরূপে পৃথিবীতে বিচরণ করিতেছেন। সুতরাং তাহার হিংস নিন্দা ও অবমাননা করা এবং তাহাকে অপ্রিয় কথা বলা উচিত নহে।” ( si১৮) এই যুক্তি পাঠ করিয়া পাঠক পাঠিকাগণ রামচন্দ্রের বালীবধরূপ কাৰ্য্যটির ঔচিত্যানেীচিত্য আপনারাই বিচার করিতে সমর্থ হইবেন। এস্থলে তৎসম্বন্ধে অধিক বলা নিম্প্রয়োজন। তবে ইহা বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, রামচন্দ্র ঈদৃশ ঘৃণিত যুক্তিপথ অবলম্বন না করিলেই ভাল করিতেন। অন্যায় কাৰ্য্য করিয়া তাহা স্বীকার করাই তাহার ন্যায় মহাপুরুষগণের একান্ত কর্তব্য। মুহূৰ্ত্তমধ্যে বালীবধসংবাদ চতুর্দিকে বিকীর্ণ হইয়া পড়িল। মহিষী তারা এই নিদারুণ অপ্রিয় সংবাদ শ্রবণ করিয়া আলুলায়িক্রকেশে উন্মদিনীর ন্যায় যুদ্ধস্থলে উপস্থিত হইলেন এবং সহচরীগণে পরিবৃত ও