পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ অধ্যায় । সীতাদেবী রক্ষোগৃহে অবরুদ্ধও দুরন্ত চেড়ীগণে নিযুত পরিবেষ্টিত থাকিয়াও সেখানে নিতান্ত সহায়শূন্ত ছিলেন না। সীতার অলৌকিক চরিত্রগুণে অনেকেই তাকার বশীভূত হইয়াছিল । ত্ৰিজটানায়ী রাবণের এক বিশ্বস্তা পরিচারিকা প্রকাশ্বে সীতাকে নানাপ্রকার ভয় প্রদর্শন করিলেও অন্তরে তাহার অতিশয় হিতাকাঙ্ক্ষিণী ছিল। ত্ৰিজটা গোপনে সীতার প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ প্রকাশ করিত, এবং সেই পতিবিয়োগবিধুরাকে নানাপ্রকারে আশ্বস্ত করিত। একদিন সে একটা ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখিয়া সীতার সমক্ষেই চেড়ীগণকে বলিয়াছিল যে, সীতাহরণপাপেই রাবণের স্বর্ণলঙ্কা অবিলম্বে বিধ্বস্ত হইয়া যাইবে, এবং সীতাকে তাহার বিজয়ী স্বামী উদ্ধার করিয়া স্বদেশে লইয়া যাইবেন ; অতএব যাহারা নিজ নিজ মঙ্গলাকাজ করে, তাহাদের এখন হইতেই সীতার অনুগত হওয়া কৰ্ত্তব্য। বিষাদময়ী জানকী ত্ৰিজটার এই স্বপ্নসংবাদে হৃষ্ট হইয়া ব্রীড়াবনতবদনে বলিয়াছিলেন “ত্রিজটে, ইহা যদি সত্য হয়, তবে আমি তোমাদিগকে অবশুই রক্ষা করিব।” (৫২৭) আর এক দিন ত্ৰিজটা সীতাকে বলিয়াছিল “দেবি, তুমি চরিত্রগুণে আমার প্রতিকর এবং স্বভাবগুণে আমার হৃদয়ে প্রবিষ্ট হইয়াছ।” (খ৪৮) মুতরাং এতদ্বারা ইহা স্পষ্টই প্রমাণিত হইতেছে যে, সেই নিৰ্ব্বান্ধবপুরী লঙ্কাতেও সীতাদেবী ত্ৰিজটার ন্যায় রাক্ষসীসহবাসে কথঞ্চিৎ আশ্বস্ত হইতেন। সরমা সীতার অন্যতম হিতাকাঙ্কিণী সখী ছিলেন। রাবণ সরমাকে সীতার রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত করিয়াছিল। সরমা এই