একাদশ আধ্যায় । bఆసి যুবরাজ অঙ্গদকে একবার প্রেরণ করিলেন। অঙ্গদ রাবণকে রামহস্তুে সীতাসমৰ্পণ করিয়া তাহার কৃপাভিক্ষা করিতে উপদেশ প্রদান করলেন ; কিন্তু রাবণ র্তাহার হিতবাক্যে অতিশয় ক্লষ্ট হইল। যুদ্ধ অলিবার্ধ্য দেখিয়া রামচন্দ্র মুগ্ৰীব প্রভৃতি বীরগণের সাহায্যে দুর্ভেদ্য বৃন্থ রচনা করিয়া লঙ্কাপুরী আক্রমণ করিলেন রাবণ অতিশয় বীর ও যুদ্ধনীতিবিশারদ। বিনা যুদ্ধে যাহাতে সীতাকে বশবৰ্ত্তিনী অথবা রামকে পরাজিত করিতে পার। ষায়, রাবণ তাহারই উপায় চিন্তা করিতে লাগিল । সীতা একবার রাবণের অমুগত হইলে, রাম রোষে ও ক্ষোভে প্রাণত্যাগ করিবে, অথবা লঙ্কা পরিত্যাগ করিয়া অন্যত্র পলায়ন করিবে । কিন্তু সীত। স্বামীর তেজোগৰ্ব্বে সৰ্ব্বদাই দৃপ্ত ; রাবণ মনে করিল, রাম বিনষ্ট ন হইলে, অথবা রাম বিনষ্ট হইয়াছেন এইরূপ বিশ্বাস ন হইলে, সীত। কখনই রাবণকে আত্মসমপণ করিবেন না । এইরূপ চিন্তা করিয়৷ দুষ্ট রাক্ষস বিদ্যুজিহবনাম এক অনুচরকে আহবান করাইয়া তাহাকে মায়াবলে রামের ছিন্ন মুগু ও শরাসন প্রস্তুত করিতে আদেশ করিল। মুগু ও শরাসন প্রস্তুত হইলে রাবণ তর্জনগর্জন করিতে করিতে অশোককাননে উপস্থিত হইয়া সীতার নিকট সোপ্তিক যুদ্ধে রামের বিনাশংবাদ জ্ঞাপন করিল, এবং সীতার বিশ্বাস সমুৎপাদনের নিমিত্ত সেই মায়ামুণ্ড ও শরাসন আনয়ন করিয়া তাহার সম্মুখে রক্ষা করিল। সীতা বুদ্ধিমোহে সেই ছিন্নমুণ্ডকে রামেরই মুও মনে করিয়া হাহাকার করিয়া ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন, এবং বহুপ্রকারে নিজ অদৃষ্টের নৃিঙ্গ। ও রামের জন্য বিলাপ করিয়া উন্মাদিনীর ন্যায় রাবণকে বলিতে লাগিলেন “রাবণ, তুমি শীঘ্র আমাকে রামের মৃতদেহের উপর লইয়া গিয় বধ কর, ভর্তার সহিত পত্নীকে একত্র করিয়া দাও, এবং কল্যাণের কাৰ্য্য কর। আজ তাছার মস্তকের সহিত আমার মস্তক এবং २२
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৭৩
অবয়ব