পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ অধ্যায় । ১ 79 পশ্চাৎ পশ্চাৎ ; লোকে অনিমিষলোচনে সীতার দিকে দৃষ্টিপাত করিতেছে ; রামচন্দ্র সমুদ্রের ন্যায় প্রশান্ত ও গম্ভীরভাবে উপবিষ্ট । সীতাদেবী ধীরে ধীরে স্বামীর সম্মুখে উপস্থিত হইয়া মুখাবরণ উত্তোলন করিলেন এবং বিস্ময় হর্ষ ও স্নেহভরে ভর্তার পূর্ণচন্দ্রসল্লিভ প্রশান্ত মুখমণ্ডল অবলোকন করিলেন। সীতার দৃষ্টি স্থির ও সরল ; ক্রমে ক্রমে চক্ষুদুটি বিস্ফারিত হইল ; সহসা তাহ হইতে এক দিব্য আলোক নিঃস্থত হইয় তাহার নিৰ্ম্মল মুখমণ্ডল প্রদীপ্ত করিল ! সীতা স্বামিসন্নিধানে মুহূৰ্ত্তকালের নিমিত্ত স্থান ও কাল বিস্তৃত হইয়৷ গেলেন ; সীতা যেন আর এই শোকতাপময় বিচ্ছেদবিরহপরিপূর্ণ ংসারে বিদ্যমান নাই; সীতা যেন স্বামী সহ বিচরণ করিতে করিতে কোন এক দেবরাজ্যে আসিয়াছেন, সেখানে পাপ নাই, অশাস্তি নাই ; সেখানে মনারকুসুম নিয়ত প্রস্ফুটিত, পবিত্রত। পূর্ণমাত্রায় বিরাজিত ; সেখানে রাম অথবা সীতা কেহই যেন রক্তমাংসময় শরীর ধারণ করিয়া নাই ; সেখানে যেন অপারোকণ্ঠে তাহাদেরই জয়গীতি উচ্চারিত হইতেছে! সীত। যাহাকে শয়নে জাগরণে চিন্তা করিতেন, যাহার নামামৃত পান করিয়াই তিনি এতাবৎকাল জীবিত আছেন, দেহে দেহে অন্তরিত হইলেও যাহা হইতে তিনি মুহূর্তেকের জন্যও কদাপি বিচ্ছিন্ন হন নাই এবং র্যাহাকে তিনি র্তfহার একমাত্র দেবতা জ্ঞান করেন, সেই ইহকালের গতি, পরকালের মুক্তি, প্রাণবল্লভ | হৃদয়স্বামীকে সীতাদেবী বহুকালের পর কেবলমাত্র একটবার নয়ন, গোচর করির ক্ষণকালের জন্য বিহবল হইয়া পড়িলেন । তিনি স্বামীর দিকে অনিমিষলোচনে দৃষ্টিপাত করিয়া কিয়ুৎকাল চিত্রাপিতার স্থায় দণ্ডায়মান রছিলেন, কিন্তু সহসা তাহার চেতনাসঞ্চার হইল । সীতা দেখিলেন ষে তিনি বাস্তবিক কোন দিব্যধামে বিদ্যমান নাই, পরস্তু রাক্ষসগৃহ হইতে সমানীত হইয়া রণস্থলে রাক্ষস ও