পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२०8 সীতা । স্বামী হন এবং তাছার সহিত আর কখনও বিচ্ছেদ না ঘটে, আমি তজ্জন্তু অতঃপর ঘোরতর তপস্তা করিব । বৎস, রামের নিকট আমার ইহাই বক্তব্য। তুমি আমার হইয়া মহারাজকে এই সমস্ত কপী বলিও।” (৭৪৮) সীতা এই বলিয়া রোদন করিতে করিতে বলিলেন “বৎস, আমি গর্ভিণী হইয়াছি ; আজ তুমি আমার সমস্ত গর্ভলক্ষণ দেখিয়া যাও।” তখন লক্ষ্মণ দীনমনে সীতার চরণে প্রণাম করিলেন । শোকে র্তাহার বাক্যষ্ণুপ্তি হইল না। তিনি মুক্তকণ্ঠে রোদন করিতে । করিতে র্তাহাকে প্রদক্ষিণ করিলেন এবং কিয়ৎক্ষণ চিন্তা করিয়া কহিলেন “দেবি তুমি আমায় কি বলিলে! আমি যে ইহজন্মে কখনও তোমার রূপ দেখি নাই ! প্রণামপ্রসঙ্গে কেবল তোমার চরণই দর্শন করিয়াছি। এখন তুমি রামবিরহিত, সুতরাং এই বনে আমি তোমায় কিরূপে দর্শন করিব।” (৭৪৮ ) এই বলিয়া লক্ষ্মণ জানকীকে প্রণাম করিলেন এবং রোদন করিতে করিতে নৌকায় আরোহণ করিলেন। মুহূৰ্ত্তমধ্যে নৌকা গঙ্গার অপর তটে সংলগ্ন হইল। যতক্ষণ সীতাদেবী দৃষ্টিগোচর হইতেছিলেন, ততক্ষণ লক্ষ্মণ র্তাহার দিকে সজলনয়নে দৃষ্টিপাত করিয়া গমন করিতে লাগিলেন। জানকীও লক্ষ্মণকে পুনঃ পুনঃ দেখিতে লাগিলেন। লক্ষ্মণ দৃষ্টিপথের বহিভূত হইবামাত্র জানকী হাহাকার করিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। তাহার রোদনধ্বনিতে বৃক্ষলতা নিম্পন্দ হইল ; মৃগসকল দর্ভাস্কুরভক্ষণে বিরত হইয় তাহার দিকে স্থিরনয়নে চাহিয়া রহিল ; ময়ূরেরা নৃত্য পরিত্যাগ করিল এবং বনস্থলী এক ভীষণ আৰ্ত্তনাদে পরিপূর্ণ হইয়া গেল ! কতিপয় ঋষিকুমার বনমধ্যে ভ্রমণ করিতে করিতে সীতার রোদনশব্দের অনুসরণ করিয়া তাহার সমীপস্থ হইল এবং রোরুদ্যমান