পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১ e সীতা । ঋষিগণ সেই গান শ্রবণ করিয়া অতিশয় বিমোহিত হইলেন। গান শ্রবণ করিতে করিতে কেহ কেহ সহসা উত্থিত হইয়া লবকুশকে এক কলশ প্রদান করিলেন ; কেহ এক বন্ধল দিলেন ; কোন ঋষি কৃষ্ণাজিন, কেহ কমণ্ডলু, কেহ যজ্ঞস্বত্র, কেহ আসন, কেহ কেীপীন, কেহ কুঠার এবং কেহ বা কাষ্ঠবন্ধনরজ্জ্ব প্রদান করিলেন ! কোন ঋষি কেবলমাত্র "স্বস্তি" ও "দীর্ঘায়ুরত্ব” বলিয়া হস্তোত্তোলন পূৰ্ব্বক প্রীতমনে র্তাহাদিগকে আশীৰ্ব্বাদ করিলেন । সমবেত ঋষিমণ্ডলী মহর্ষি বাল্মীকিপ্রণীত সমগ্র রামায়ণ খানি সেই বালকদ্বয়ের অমৃতকণ্ঠে গীত হইতে শ্রবণ করিয়া এইরূপে আপনাপন হৃদয়ের আনন্দোচ্ছাস প্রকটত করিয়াছিলেন। বাল্মীকির রামায়ণের প্রকৃত মূল্য জগতে পাওয়া যায় না। সসাগর রত্নগর্ভ ধরিত্রীও এই মহাকাব্যের বিনিময়যোগ্য মূল্য নহে ; কেবলমাত্র এই সরলহদয় ব্রহ্মপরায়ণ ঋষিবর্গের উল্লিখিত আনন্দোচ্ছ,সেই তাহার প্রকৃত মূল্য বলিয়া বোধ ३ग्न ! এইরূপে মহর্ষি বাল্মীকির যত্নে লবকুশ পল্লবিত তরুণ বৃক্ষের ন্তায় দিন দিন পরিবদ্ধিত হইতে লাগিলেন। ক্রমে তাহারা দ্বাদশবর্ষে উপনীত হইলেন। একদিন মহর্ষি বাল্মীকি গোমতীতীরে নৈমিষারণ্যে মহারাজ রামচন্দ্রের অনুষ্ঠিত সুবৃহৎ অশ্বমেধ যজ্ঞ দর্শনার্থ সশিষ্যে উপনীত হইতে নিমন্ত্রিত হইলেন। মহর্ষি শিষ্যবর্গের সহিত যথাসময়ে যজ্ঞস্থলে উপস্থিত হইলেন। তাপধবেশধারী কুমার কুশীলবও তাহার সমভিব্যাঙ্গারে আগমন করিয়াছিলেন। বাল্মীকি কুমারদ্বয়কে সমীপে আহবান করিয়া কহিলেন “বৎস, তোমরা গিয়া পবিত্র ঋষিক্ষেত্রে, বিগ্রালয়ে, রাজমার্গে, অভ্যাগত রাজগণের গৃহে, রাজদ্বারে, যজ্ঞস্থানে এবং বিশেষতঃ যজ্ঞদীক্ষিত ঋষিগণের সন্নিকটে পরম উৎসাহে সমগ্র রামায়ণ কাপ্য গান কর । যদি মহারাজ রামচন্দ্র গীত