পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ অধ্যায়। रे8> শ্রবণের নিমিত্ত উপবিষ্ট ঋষিগণের মধ্যে তোমাদিগকে আহবান করেন, তাহা হইলে তোমরা তথায় গিয়া গান করিও। আমি পূৰ্ব্বে যেরূপ দেখাইয়া দিয়াছি, তদনুসারে তোমরা প্রতিদিন শ্লোকবহুল বিংশতি সর্গমাত্র গান করিও । ধনতৃষ্ণায় অল্পমাত্র ও লুব্ধ হই ও না ; যাহাদের আশ্রমে বাস ও ফলমূল আহার, ধনে তাঙ্গাদের কি হইবে ? যদি রাম তোমাদিগকে জিজ্ঞাসা করেন, তোমরা কাহার পুত্র, তখন বলিও আমরা বাল্মীকির শিষ্য। এই তোমাদের সুমধুর বীণা ; তোমরা বীণাযোগে তানলয়সহকারে অক্লেশে গান করিও। দেখ, রাজ। - ধৰ্ম্মানুসারে সকলেরই পিতা । তোমরা তাঙ্গাকে অবজ্ঞা না করিয়া আদিকাণ্ড হইতে গান আরম্ভ করিলে।” বাল্মীকি কর্তৃক এইরূপে উপদিষ্ট হইয়া কুশীলব মুনিবালকের ন্তায় বেশভূষা করিয়া মুমধুর কণ্ঠে বীণাসহযোগে গান আরম্ভ করিলেন । আবালবৃদ্ধবনিতা পবিত্র রামকথা শ্রবণ করিয়া বিমুগ্ধ হইল। তাহার। সেই বালকদ্বয়ের অপূৰ্ব্ব বেশ ও রামের ন্তায় অলৌকিক রূপ দেখিয়া এবং তাছাদের মধুময় কণ্ঠস্বর শ্রবণ করিয়া বিক্ষিত হইল। যেখানে তাহারা গান আরম্ভ করিতে লাগিলেন, সেই খানেই সহস্ৰ সহস্ৰ লোকের সমাগম হইল। ঋষিবৰ্গ ও অভ্যাগত রাজগণ তাহাদের সঙ্গীত শ্রবণ করিয়া মুক্তকণ্ঠে সাধুবাদ প্রদান করিতে লাগিলেন। এদিকে এই অপূৰ্ব্ব মুনিবালকদ্বয়ের কথা মহারাজ রামচন্দ্রের কর্ণগোচর হইল। তিনি অবিলম্বে র্তীকাদিগকে সভামধ্যে আহবান করাইয়া তাহীদের ও কাব্যপ্রণেতা মহর্ষির পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন। কুশীলব বাল্মীকির উপদেশবাক্য স্মরণ পূর্বক সমস্ত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করিলেন । অনন্তর মহারাজের আদেশানুসারে তাহারা রামায়ণের আদিকাণ্ড হইতে গান আরম্ভ করিলেন। সভাস্থ সকলে নীরব ও উৎকর্ণ হইয়া অমৃতময়ী রামকথা শ্রবণ করিতে লাগিলেন।