পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ অধ্যায় । *>や এই বিষয়ে মহর্ষির অভিপ্রায় এবং আত্মশুদ্ধিকল্পে জানকীর ইচ্ছ সম্যক্‌ বুঝিয়া শীঘ্র আমাকে সংবাদ দাও।” দূতেরা বাল্মীকির নিকট রামের অভিপ্রায় জ্ঞাপন করিলে, মহর্ষি বলিলেন “দূতগণ, রামের যেরূপ অভিপ্রায়, তাহাই হউক । স্ত্রীলোকের পতিই দেবতা, মুতরাং তিনি যাহা কহিয়াছেন, জানকী তাছাই করুন।” দূতগণের মুখে মহর্ষির বাক্য শ্রবণ করিয়া রাম হৃষ্টমনে ঋষিবৰ্গ ও রাজগণকে পরদিন রাজসভায় সমাগত হইতে নিমন্ত্ৰণ করিলেন । , রাত্রি প্রভাত হইলে, মহারাজ রামচন্দ্র যজ্ঞসভায় উপস্থিত হইয়া ঋষিগণকে আহবান করিলেন । বশিষ্ঠাদি মহর্ষিগণ, ঋষিগণ ও ব্রাহ্মণগণ স্ব স্ব স্থানে উপবিষ্ট হইলেন । অভ্যাগত রাজগণ নির্দিষ্ট স্থলে আসন গ্রহণ করিলেন। ক্ষত্রিয়, বৈশু ও শূদ্ৰগণ যথাস্থানে উপবেশন করিলেন । সুগ্ৰীবাদি বানরগণ, বিভীষণাদি রাক্ষসগণ ও জনসাধারণ সকলেই সোৎমুকচিত্তে আগ্রহপূর্ণহৃদয়ে সভাস্থলে উপস্থিত হইলেন। আজ নিৰ্ব্বাসিত রাজমহিষী সীতাদেবী সৰ্ব্বজনসমক্ষে শপথ করিয়া আত্মশুদ্ধি সম্পাদন করিবেন । মহারাজ রামচন্দ্র লোকাপবাদভয়ে যে রমণীশিরোমণি পতিব্ৰতা জনকনন্দিনীকে পরিত্যাগ করিয়াছেন, আজ সকলের সম্মুখে তাহার চরিত্রের বিশুদ্ধত প্রমাণিত করিয়া তাহাকে পুনগ্রহণ করিবেন। কেহ সীতা দেবীর অলৌকিক পত্যমুরাগের প্রশংসা করিতেছে, কেহ রামচন্দ্রের প্রগাঢ় প্রেমের পরিচয়স্বরূপিণী জানকীর কনকময়ী প্রতিমূৰ্ত্তির উল্লেখ করিতেছে, কেহবঃমহারাজ রামচন্দ্রের অলোকসাধারণ প্রজা রঞ্জনবৃত্তির গৌরব কীৰ্ত্তন করিতেছে, এমন সময়ে প্রশান্তমূৰ্ত্তি তেজঃপ্রদীপ্ত মহর্ষি বাল্মীকি দেবী জানকীর সহিত ধীরে ধীরে সভাগৃহে প্রবেশ করিলেন। সভা নীরব ও নিস্তব্ধ ; কোথাও শব্দমাত্র শ্রতি