পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(నీ সীতা । এই কারণে আমি এতক্ষণ সন্মত হই নাই। এক্ষণে বুঝিলাম ভূমি আমার সহিত বনগমনে সম্যক প্রস্তুত হইয়াছ। তোমার দওকারণ্যগমনে আমার অভিলাষ ছিল না, কিন্তু তুমি যখন তৰিষয়ে দৃঢ়গঙ্কর করিয়াছ, তখন অবগুই সঙ্গে লইব । এক্ষণে আমি বলিতেছি যাহা আমার ধৰ্ম্ম, তুমিও তৎসাধনে প্রবৃত্ত হও। প্রিয়ে, তুমি যেরূপ সিদ্ধান্ত করিয়াছ, তাহ সৰ্ব্বাংশে উত্তম এবং আমাদের বংশেরও অনুরূপ হইয়াছে। এক্ষণে তুমি বনগমনের উপযুক্ত অনুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হও । তুমি আপনার ধনরত্ন, বস্ত্রভূষণ, ক্রীড়াসামগ্ৰী সমস্তই ব্রাহ্মণ ও দরিদ্রগণের মধ্যে বিতরণ করিয়া অদ্যই অরণ্যযাত্রা করিতে প্রস্তুত হও ” (২।৩০ ) প্রেমের জয় হইল। সীতার আনন্দের আর পরিসীমা নাই। মেঘমুক্ত হইলে পূর্ণচন্দ্রের যেরূপ শোভ হয়, বনবাসে স্বামীর সঙ্গিনী হইতে সন্মতি পাইয়া সীতারও তদ্রুপ শোভ হইল। গীত তৎক্ষণাৎ অম্লানবদনে আপনার সমস্ত ধনরত্ব বিতরণ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। লক্ষ্মণ এতক্ষণ উভয়ের কথোপকথন শুনিতেছিলেন ; তিনি রামকে বনগমন করিতে একান্তই কৃতনিশ্চয় দেখিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে কহিলেন *প্রভো, যদি বনবাসই স্থির করিলেন, তবে আপনার এই চির অমুচরকেও সঙ্গে লউন। রাম লক্ষ্মণকে প্রতিনিবৃত্ত করিতে অনেক চেষ্টা করিলেন কিন্তু কিছুতেই কৃতকাৰ্য্য হুইলেন না। অবশেষে তিন জনেই অরণ্যগমনের সঙ্কর করিয়া সমস্ত ধনরত্ব বিতরণ করিলেন। অনন্তর সকলে গৃহ হইতে বহির্গত হইয়া দশরথের নিকট বিদায় ক্লাইতে গমন করিলেন । যে সীতাকে কেহ কখনও নয়নগোচর করে নাই, সেই রাজকুমারী ও রাজবধু সীতাদেবীকে পদব্রজে গমন করিতে দেখিয়া সকলে হাহাকার করিতে লাগিল এবং দশরথ ও কৈকেয়ীর যথেষ্ট নিম্না করিল। দশরথ রাম লক্ষ্মণ ও সীতাকে দেখিাই উচ্চৈঃ