পঞ্চম অধ্যায় । - ¢ ፃ স্বরে বিলাপ করিতে লাগিলেন এবং কৌশল্যাপ্রমুখ রাজমহিষীগণ শোকাকুল হইলেন। রাম দশরথের পাদবদন পূৰ্ব্বক উাহার নিকট বিদায় প্রার্থনা করিলেন। দশরথ বাষ্পাকুললোচনে প্রিয়তম পুত্রকে বিসর্জন করিলেন । দুৰ্ব্বত্ত৷ কৈকেয়ী রামলক্ষ্মণের পরিধানের নিমিত্ত চীরবন্ত্র আনয়ন করিলেন। রাম ও লক্ষ্মণ সেই স্থলেই তাপসবেশ ধারণ করিলেন। মুগ্ধস্বভাবা সীতাও, কিরূপে চীর ধারণ করিতে হয় তাহা স্থির করিতে না পারিয়া, অবশেষে তাহা আপনার কৌশেয় বস্ত্রের উপরই বন্ধন করিতেছিলেন এমন সময়ে বশিষ্ঠ প্রভৃতি গুরুজনেরা তাহাকে সে কাৰ্য্য হইতে বিরত করিলেন। দশরথ বৎসর সংখ্যা করিয়া সীতার জন্ত বহুমূল্য বস্ত্র ও ভূষণ প্রদান করিলেন। অনন্তর রাম লক্ষ্মণ ও সীতা গুরুজনবর্গের নিকট যথাক্রমে বিদায় গ্রহণ করিতে লাগিলেন। কৌশল্যাদেবী সীতাকে আলিঙ্গন ও তাহার মস্তক আঘ্ৰাণ করিয়া অশ্রুপূর্ণলোচনে কহিলেন, @বংসে, যে নারী প্রিয়জনদিগের আদরভাজন হইয়াও বিপদে স্বামিসেবায় পরায়ুখ হয়, সে ইহলোকে অসতী বলিয়া পরিগণিত হইয়া থাকে। . এইরূপ অসতীদিগের স্বভাব এই যে, উহার স্বামীর সম্পদের সময় মুখভোগ করে এবং বিপদ উপস্থিত হইলে তাহাকে নানাদোষে দূষিত, অধিক কি, পরিত্যাগও করিয়া থাকে। উহার মিথ্যা কহে, এবং পতির প্রতি একান্ত বিরস বলিয়া অল্পকারণেই বিরক্ত হইয়া উঠে। এই সকল স্ত্রীলোক অত্যন্ত অস্থিরচিত্ত ; উহারা কুলের অপেক্ষ রাখে না, বসনভূষণে বশীভূত হয় না, কৃতঘ্ন হয়, ধৰ্ম্মজ্ঞান তুচ্ছ বিবেচনা করে, এবং দোষপ্রদর্শন করিলেও অস্বীকার করিয়া থাকে। কিন্তু যাহারা গুরুজনের উপদেশগ্রহণ এবং আপনাদের কুলমৰ্য্যাদা পালন করেন, যাহারা সত্যবাদী ও শুদ্ধস্বভাব, সেই সকল । সতী একমাত্র পতিকেই পুণ্যসাধন জ্ঞান করিয়া থাকেন। এক্ষণে
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৬১
অবয়ব