পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to সীতা । উপনীত হইয়া শোকে অবসর হইতে লাগিল, এবং রামের সন্নিকটে ও श्य, চতুর্দিকে শয়ন ও উপবেশন করিয়া প্রগাঢ়নিদ্রায় নিমগ্ন হইল। রামচন্দ্র সেই প্রশান্ত সন্ধ্যাকালে তমসাতটে সীতা ও লক্ষ্মণের সহিত উপবিষ্ট হইয়া বিষাদজালে আচ্ছন্ন হইলেন। শোকার্ত বৃদ্ধপিতা, বিলপমান জননী, দুঃখিত মাতৃগণ এবং অনুরক্ত অযোধ্যাবাসিগণ স্মৃতিপথে সমুদিত হইয় তাহার স্বকোমল মনকে অতিশয় সস্তপ্ত করিতে লাগিল। তিনি কষ্টে শোক সম্বরণ করিয়া সন্ধ্যাবন্দন সমাপনপূর্বক লক্ষ্মণকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন “বৎস, আজ বনবাসের এই প্রথম নিশা উপস্থিত ; আজ আমরা এই নদীতীরেই আশ্রয় লইলাম ; এইস্থানে বন্ত ফলমূল যথেষ্ট রহিয়াছে ; কিন্তু সঙ্কল্প করিয়াছি আজিকার এই রাত্রি কেবল জলপান করিয়াই থাকিব।” সুমন্ত্র ও লক্ষ্মণ রামের জন্য পর্ণশয্যা প্রস্তুত করিলেন। তিনি ভাৰ্য্যার সহিত তাহাতে শয়ন করিয়া নিদ্রামগ্ন হইলেন; আর মহাবীর লক্ষ্মণ সুমন্ত্রের সহিত র্তাহার গুণালোচনা করিতে করিতে নিশ যাপন করিলেনট রাম প্রত্যুষে গাত্ৰোখান পূৰ্ব্বক প্রজামণ্ডলীকে ঘোর নিদ্রায় অচেতন দেখিয় তাহারা জাগরিত হইবার পূৰ্ব্বেই সীতা ও লক্ষ্মণের সহিত । সে স্থান পরিত্যাগ করিলেন। রথ মহাবেগে চালিত হইয় তাহাদিগকে ক্ষাকালমধ্যে বহুদূরে লইয়া গেল। অনন্তর কোশলরাজ্যের অন্তসীমায় বেদশ্ৰুতি নদী পার হইয় তাহারা দক্ষিণাভিমুখে গমন করিতে লাগিলেন, পরে কিয়দূরে গোমতী ও শুন্দিক নদী অতিক্রম করিয়া স্থসমৃদ্ধ শৃঙ্গবেরপুরে উপনীত হইলেন। অনতিদূরে পবিত্র সলিল জাহ্নবী প্রবাহিত হইতেছিল । রাম সীতাকে স্বরম্যতটশোভিনী কলমদিনী সেই জাহ্নবীর বিচিত্র শোভা দেখাইতে দেখাইতে এক মনোহর ইস্কুীক্ষ দেখিতে পাইলেন, এবং সেই বৃক্ষতলেই নিশ+ মাপনমানসে মুমন্ত্রকে শ্মশ্বরশ্মি সংযত করিতে বলিলেন।