পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায় । (बांभ সন্তপ্তমনে একবার পশ্চাদিকে দৃষ্টিপাত করিয়া দেখিলেন অযোধ্যাবাসিগণ শোকাৰ্ত্ত হইয় তাহার রথের অনুসরণ করিতেছে। রাম তাহাদিগকে প্রতিনিবৃত্ত হইতে অনেক অনুরোধ করিলেন, কিন্তু তাহারা তাহার বাক্যে কর্ণপাত করিল না। রাম যেখানে যাইবেন, তাহারাও সেখানে যাইবে ; রামশুন্ত অযোধ্যানগরীতে তাহারা আর বাস করিবে না। ভক্ত প্রজাগণের ঈদৃশ অনুরাগ দেখিয়া রাম অশ্রুজল সম্বরণ করিতে অক্ষম হইলেন । তিনি আর বাক্যব্যয় না করিয়া সুমন্ত্রকে মহাবেগে অশ্বচালনা করিতে বলিলেন । প্রজাপুঞ্জও কিছুতেই নিরস্ত হইল না ; অন্তের কথা দূরে থাকুক, তপোনিরত বৃদ্ধ ব্রাহ্মণগণও হাহাকার করিতে করিতে রামের পশ্চাদ্ধাবিত হইলেন এবং বাৰ্দ্ধক্যনিবন্ধন বেগে গমন করিতে অসমর্থ হইয়া করুণস্বরে বিলাপ করিতে লাগিলেন । তদর্শনে রামচন্দ্র দয়াপরবশ হইয়া সীতা ও লক্ষ্মণের সহিত রথ হইতে অবতরণপূর্বক পদব্রজেই অরণ্যাভিমুখে গমন করিতে লাগিলেন। ক্রমে দিব। অবসানপ্রায় হইলে, সকলে তমসাতীরে উপনীতু হইলেন। মুমন্ত্র পরিশ্রান্ত অশ্বগণকে বিমুক্ত করিয়া তাহাদিগকে আহারসামগ্রী প্রদান করিলেন। এদিকে সন্ধ্যার প্রগাঢ় ছায়া অবতীর্ণ হইয়া ধীরে ধীরে যাবতীয় পদার্থকে আচ্ছন্ন করিতে লাগিল । বৃক্ষসকল অস্পষ্ট ও নিম্পন্দ হইল। পক্ষিগণ নীড়ে বসিয়া কোলাহল করিতে করিতে অকস্মাৎ নীরব হইল । অদূরে তমসার কৃষ্ণজলরাশি তিমিরগর্ভে কোথায় বিলীন হইতে লাগিল । পরিশ্রান্ত অযোধ্যাবাসিগণ সেই সুরম্য নদীতটে একে একে