পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిe সীতা ॥. নির্দেশ করির দিন ; আমি তথা কুটার নির্মাণ পূর্বক স্বখে বাস করিব।” মহর্ষি ক্ষণকাল চিন্তা করিয়া রামকে সেই স্থান হইতে জুই যোজন দূরে পঞ্চবটী নামক রমণীয় বনে বাস করিতে পরামর্শ দিলেন। রাম তাহার পরামর্শানুসারে পঞ্চবট যাইতে সঙ্কল্প করিলেন, এবং মহৰ্ষিকে প্রদক্ষিণ করিয়া সীতা ও লক্ষ্মণের সহিত তথায় উপনীত হইলেন । - পঞ্চবটী একটা মুনার পুষ্পিত কানন। অদূরে নিৰ্ম্মলসলিল গোদাবরী প্রবাহিত হইতেছে ; স্থলে স্থলে রমণীয় সরোবরে সুগন্ধি । পদ্মসকল প্রস্ফুটিত রহিয়াছে। গোদাবরানীরে হংস সারস ও চক্ৰবাক সকল অনবরত ক্রীড়া করিতেছে ; তীরভূমি কুস্থমিত বৃক্ষসকলে পরিপূর্ণ। চতুর্দিকে গভীর অরণ্য ; তন্মধ্যে দলে দলে মৃগ সকল সঞ্চরণ করিতেছে। ময়ূরের কেকাধবনি ও কোকিলের কুহু রবে বায়ুমণ্ডল নিরস্তর মুখরিত হইতেছে। কিয়দূরে পৰ্ব্বতশ্রেণী -ঘনকৃষ্ণ মেঘমালার দ্যায় শোভা পাইতেছে। অরণ্যে নানাজাতি বৃক্ষ ; সাল, তাল, তমাল, খর্জুর, আম্র, অশোক, তিলক, চম্পক, কেতকী, চন্দন, শমী, ধব, খদির, কিংশুক প্রভৃতি তরুরাজি কুমুমিত লতাজালে জড়িত হইয়া রমণীয় শোভা বিস্তার করিতেছে। রাম প্রিয়তমা জানকীর সছিত আনন্মোৎফুল্লমনে সেই স্থান অবলোকন করিয়া লক্ষ্মণকে একটা সুন্দর সমতল ও পুষ্পবৃক্ষপরিপূর্ণ স্থলে কুটার নিৰ্ম্মাণের আদেশ করিলেন। লক্ষ্মণও অনতিবিলম্বে তথায় স্থপ্রশস্ত উৎকৃষ্টস্তম্ভশোভিত মুরম্য এক পর্শশালা প্রস্তুত করিলেন। উহার ভিত্তি মৃত্তিকা দ্বারা নির্মিত ও বৃহৎ বংশে বংশকাৰ্য্য সম্পাদিত হইল ; এবং উহা শমীশাখা, কুশ, কাশ, শর ও পত্রে আচ্ছাদিত হইয়৷ সুদৃঢ় পাশে সংঘত হইল। কুটারখানি মনোরম হইয়াছে দেখিয়া, রাম অতিশয় প্রীত হইয়া লক্ষ্মণকে আলিঙ্গন করিলেন। অনন্তর