পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাগিয়ে তাকে ক্লাশের কোনায় দাড় করিয়ে রাখলেন । কিন্তু পাগলার তাতেও লজ্জা নেই, সে সারাটি ঘণ্টা থেকে থেকে বই দিয়ে মুখ আড়াল করে ফিকফিক করে হাসতে লাগল। টিফিনের ছুটির সময়ে নবু দাশুকে চেপে ধরল, “কিরে দেশো ! বড়ো যে হাসতে শিখেছিস ।” দাশু বলল, “হাসব না ? তুমি কাল ধুচুনি মাথায় দেয়ি কিরকম নাচটা নেচেছিলে, সে তো আর তুমি নিজে দেখ নি ? দেখলে বুঝতে কেমন মজা ।” আমরা সবাই বললাম, “সে কিরকম ? ধুচুনি মাথায় নাচছিল মানে ?” দাশু বলল, “তাও BB B K BBB BB BBBS g B S BBBBSB BBB BBBBB S BB BBBB হয়ে বললাম, “কি বলছিস ভালো করেই বল-না।” দাশু বলল, “কালকে শেঠেদের বাগানের পেছন দিয়ে নবু একলা একলা বাড়ি যাচ্ছিল, এমন সময়ে দুটো ছেলে—তাদের নাম বলতে বারণ—তারা দৌড়ে এসে নবুর মাথায় ধুচুনির মতো কি একটা চাপিয়ে তার গায়ের ওপর আচ্ছা করে পিচকিরি দিয়ে পালিয়ে গেল !” নবু ভয়ানক রেগে বলল, “তুই তখন কি করছিলি ?” দাশু বলল, “তুমি তখন মাথার থলি খুলবার জন্য ব্যাঙের মতো হাত-পা ছুড়ে লাফাচ্ছিলে দেখে আমি বললাম, ফের নড়বি তো দড়ামৃ করে মাথা উড়িয়ে দেব। তাই শুনে তুমি রাস্তার মধ্যে কাঠ হয়ে দাড়িয়ে রইলে, তাই তামি তোমার বড়োমামাকে ডেকে আনলাম।” নবীনচাঁদের যেমন বাবুয়ানা, তেমনি তার দেমাক— সেইজন্য কেউ তাকে পছন্দ করত না, তার লাঞছনার বর্ণনা শুনে সবাই বেশ খুশি হলাম । ব্রজলাল ছেলেমানুষ, সে ব্যাপারটা বুঝতে না পেরে বলল, “তবে যে নবীনদা বলছিল, তাকে ডাকাতে ধরেছে ?” দাশু বলল, “দুর বোকা । কোস্টা কি ডাকাত ?” বলতে না বলতেই কেন্সটা সেখানে এসে হাজির ৷ কেকটা আমাদের উপরের ক্লাশে পড়ে, তার গায়েও বেশ জোর অাছে। নবীনচাঁদ তাকে দেখবামাত্র শিকারি বেড়ালের মতো ফুলে উঠল । কিন্তু মারামারি করতে সাহস পেল না, খানিকক্ষণ কইমাই করে তাকিয়ে সেখান থেকে সরে পড়ল। আমরা ভাবলাম গোলমালমিটে গেল । কিন্তু তার পরদিন ছুটির সময়ে দেখি, নবীন তার দাদা মোহনচাঁদকে নিয়ে হনহন করে আমাদের দিকে আসছে। মোহনচাঁদ এনট্রান্স ক্লাশে পড়ে, সে আমাদের চাইতে ইকূলয় পদ । • gఫి