পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

85 শশিমুখীর বুকটা ধড়াসা করিয়া উঠিল! সে তাহাব জননীর নিকট সে দিন শুনিয়া আসিয়াছে, তাঙ্গার খুল্লতাত ভ্রাতা অমল দাদা ঘোড়দৌড় খেলিয়া ভিটামাট উচ্ছন্ন দিতে বসিয়াছে,-দু’দিন পরে হয় ত সে পথের ভিখারী হইবে। তাই সে বিষঃমুখে কহিল, “কি সৰ্ব্বনাশ ঘোড়দৌড় খেলতে গিয়েছিলে ?” সুরেশ হাসিয়া কহিল, “সর্বনাশটা কি হ’ল। এই তি দুটো টাকার বেশী ত খেলিনি, আর দেখ, ঘোড়াটোড়াও আমি চিনি না, হরকুমাররা ত তবু অনেক খরর রাখে। আমি, কিছু না জেনেই প্ৰথমে গিয়েই এক টাকা লাগিয়ে দিলাম, একেধারে চার চার টাকা এসে গেল, ফের দু’টাকা লাগালাম, ফের তিন টাকা এল, কি মজা বল দিকি, এমনই করে। পাচ বাজিতে আমার পনির টাকা লাভ হ’য়ে গেল, তখনও আরও দু বাজি বাকি, বুঝলে, আমি কি তেমনই বোকা, আর খেলি--কি জানি যদি হেরে যাই, ফাকি দিয়ে পািনর টাকা পাওয়া গেল। এই ঢের ; এই ভাবা, আর সোজা। ট্রামে উঠে সরে পড়া । পথে চার পাঁচ টাকার খাবার কিনলাম। বাকি যে ক’টা টাকা আছে, খুকীর জন্যে একটা ভাল জামা কেনা যাবে, আর তোমার একখানা কাপড়, কি বল ?” শশিমুখী নিৰ্বাক্‌ হুইয়া স্বামীর কথা শুনিতেছিল। তাহার মনের মধ্যে কেমন যেন আপনাআপনি আশঙ্কার মৈঘ ঘনাইয়া উঠিতেছিল। তাহার কেবলই মনে হইতে লাগিল, হায়, এই évე