পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৮৯ ) উপস্থিত হয়েন । কেহ কেহ পল্লব গ্রাহী পণ্ডিত্য লইয় উদয় হয়েন ; কিন্তু র্যাহার। স্বাভাবিক প্রথর বুদ্ধিবলে, এই বিশাল পৃথ্বীপত্র পাঠ করিয়াছেন, তাহার সেরূপ বিদ্বা, নকে উৎকৃষ্ট ভাবেন না। কেহ কেহ উচ্চতর দাসত্বের অভিমানের সহিত প্রবেশ করেন, বাস্তবিক তিনি দাস ভিন্ন আর কিছুই নহেন। সেই কথা মনে হইলে কেহ তাহার অভিমানানুযায়ী মান্য মনোমধ্যে আনয়ন করে না । কেহ কেহ কে লীন্যাভিমানের সহিত উদয় হয়েন । এক্ষণকার নিষ্ঠ।রত্তিবিবর্জিত কুলীনকে কেহ অন্তঃকরণের সহিত শ্রদ্ধা করে না । বিশিষ্ট বদ্ধিষ্ণু লোকের সহিত অপলাপ পরিচয় আছে সেই অভিমানের সহিত অনেকে তথায় আগমন করেন, সে অভিমানের কোন কার্য্য কারণ নাই বলিয়া সকলেই আ গ্রাহ্য করেন। কেহ কেহ যৌবনব স্থার অভিমান বলবৎ করিয়া, কেহ বা প্রাচীনাবস্থ রে পরিপক্কতাভিমান উপলক্ষ্য করিয়া উদয় হইয়। থাকেন। তথায় যুবার, রন্ধদিগকে নিৰ্ব্বেীপ অনুমান করিয়া তাচ্ছিল্য করেন এবং প্রাচীনেরাও যুবাদিগকে জ্ঞানশূন্য জানিয়া অবহেলা করিয়া থাকেন। রাজা, রায় বাহাদুর ইত্যাদি উপাধিযুক্ত মহাপুৰুষেরা সমাগমস্থলে অভিমানের ৰিজাতীয় গুৰু ভার লইয়। প্রবেশ করেন। র্তাহাদিগের মধ্যে অনেকের অন্যের হিতার্থে কোন কার্য্য করিতে ক্ষমতা নাই। সুতরাং তাহারা গ্রাম্যদেবতা ও ভিক্ষুকদিগের প্রতিষ্ঠিত দেবতার ন্যায় যথায় তথায় গড়