পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ol রাদি করাইবার প্রথা ক্রমে বিলুপ্ত হইয়াছে। আতিথ্য কাহাকে বলে তাহ। অনেকেই অবগত নহেন। পূৰ্ব্বে আতিথ্য এত প্রবল ছিল যে, পল্লীতে কোন অতিথির আগমন হইলে, প্রতিবাসীরা সকলে একত্র হইয় তাহাকে কে নিজ নিবাসে লইয়া যাইবেন এ নিমিত্ত পরস্পর দ্বন্দ্ব কলহ করিতেন। এক্ষণে কেহ কোন স্থানে অতিথি হয় না"; যদ্যপি কাহকেও অগত্য অতিথি হইতে হয়, প্রতিবাসীরা তাহাকে দেখিয়া কেহ দ্বার রুদ্ধ করেন, কেহ বা তাহার দৃষ্টি পথ হইতে অন্তহিত হয়েন। অনেক সন্ত্রান্ত সম্পত্তিশালী ব্যক্তি মুষ্টি ভিক্ষা প্রদানে কাতর হয়েন। ভিক্ষুকের প্রতি কুপিত হইয়া বলেন “তোরা গিয়া পরিশ্রম করিয়৷ দিনপাত কর” ; তাহাদিগকে যে পরিশ্রম করাইয়া আহারাদি দিবার লোক নাই তাহারা জানিয়াও জানেন না। কোন কোন তর্কবাগীশ বলেন পরমেশ্বর ভিক্ষুক দিগকে ক্লেশ দিতে ইচ্ছা করিয়াছেন আমরা জগদীশ্বরের সেই ইচ্ছার বিপরীত কাৰ্য্য কি কারণ অবলম্বন করিব । কেহ কেহ বলেন ইংরাজেরা ভিক্ষা দেন না আমরা কেন দিব ; কিন্তু ইংরাজেরা যে চেরিটেবিল সোসাইটতে (দাতব্য শালায়) বিপুল ধন দান করিয়া ভিক্ষুক দিগকে চিরদিন ভিক্ষা দিবার উপায় করিয়া রাখিয়াছেন বঙ্গবাসীরা তাহা কিছু করেন নাই তাহার হঠাৎ বলিয়া উঠেন ইংরাজের ভিক্ষাদেন না আমরা কেন দিব ? ইত্যাদি নানা কাৰ্য্য দ্বারা আধুনিক বঙ্গবাসীরা এক প্রকার ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম বিবর্জিত হইতেছেন ; তবে গবর্ণমেণ্ট তাহাদিগের নিকট হইতে রোড - শেষ নামে যে কর বলপূর্বক গ্রহণ করিয়া তাহাতে ব্যক্তি সাধা