[ $8 ) না হয়, প্রভুদিগের এই নিয়ম ছিল। দয়াবৃত্তি র্তাহাদিগকে । ঐরূপ নিয়মাবলম্বনে বাধ্য করিত। অধীন পরলোক গত হইলে তদীয় পুত্রকে কি তৎপরিবারের কোন ব্যক্তিকে কাৰ্য্য দিয়া প্রভূরা তাহার সংসার নির্বাহের উপায় করিয়া দিতেন, আর সেরূপ নাই। এক্ষণে যে ব্যক্তি স্বয়ং প্রভুকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ দ্বারা শরীর জীর্ণ করিয়াছে সে অশক্ত হইলে প্রভু তাহাকে কাৰ্য্যচু্যত করেন ; অথচ দিনপাতের কোন উপায় করিয়া দেন না। স্ত্রী পুত্রের সহিত একত্র বাস করিয়া কাৰ্য্যস্থলে সুখে কালাতিপাত করিবে তদৰ্থে কলুটোলার কোন প্রভূ অধীনদিগকে নগরে অবস্থিতি জন্ত গৃহ নিৰ্ম্মাণ ও গৃহ নিৰ্ম্মাণের উপযুক্ত ভূমিদান করিতেন, কি অপরিসীম দয়ার কার্য্য ! কিন্তু ইদানীং কত লোক বৎসরের মধ্যে দুই তিন দিনের জন্য, স্ত্রী পুত্র দর্শনাভিলাষে স্বদেশ গমনবশতঃ মহামতি প্রভুদিগের নিকটে কৰ্ম্মচ্যুত হইতেছেন। প্রভুরা, অধীনকে স্থাবর-সম্পত্তি দান করিয়া তাহাকে ও তদীয় উত্তরাধিকারীগণকে যাবজ্জীবন জন্ত প্রতিপালন করিতেন। সে সকল বিবরণ এক্ষণে উপন্যাসের ন্তীয় হইয়া উঠিয়াছে। অধীন সুখে আছে শুনিলে প্রভুর আলাদে পরিপূর্ণ হইতেন, কিন্তু আধুনিক বিচিত্র প্রভূরা উহ! শুনিলে বিমর্ষ হইয়া মনে করেন আমার সর্বনাশ করিয়া এই রূপ অবস্থায় আছে। ক্রিয়া-কলাপ উপলক্ষে অধীন ব্যক্তি, জনগণকে উৎকৃষ্টরূপে ভোজন করায় সে জন্ত প্রভূর বিশেষ অকিঞ্চন দেখা যাইত এবং তৎকার্য্য স্থপ্রতুল জন্ত তিনি অর্থের সাহায্য করিতেন। এক্ষণে সেরূপ সাহায্য
