পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ R & ] দেখা যায় না। অধীন সপরিবারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বসনাভরণে বিভূষিত না থাকিলে প্রভু ক্ষুব্ধ হইতেন, এক্ষণকার প্রভুর অধীনের শোভা সৌন্দৰ্য্য দেখিলে অসন্তুষ্ট হইয়া মনে মনে কতই কল্পনার স্বষ্টি করেন। অধুনা বঙ্গবাসীরাও কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত করিবার পূৰ্ব্বে তাহাকে পূৰ্ব্ব প্রভুর প্রশংসা পত্র দর্শাইতে কহেন । যে ব্যক্তি দুরাচার প্রভুর কার্য্য করিয়াছে সে তাহ দেখাইতে পারে না, এমতস্থলে তাহাকে অযোগ্য ও অপ্রসিদ্ধ কৰ্ম্মচারী মীমাংসা করিয়া নব্য প্রভূর স্বকীয় বিজ্ঞতার পরিচয় দিয়া থাকেন। বঙ্গদেশে ইংরাজী প্রথা প্রচলিত হইয়া এইরূপে কৰ্ম্মচারী মনোনীত করিবার নিয়ম হইয়াছে। অধীন পীড়িত হইলে, পূৰ্ব্ব প্রভূরা চিকিৎসক সঙ্গে লইয়া তাহার বাটীতে তত্ত্বাবধান করিতে যাইতেন এবং সে ব্যক্তির যত দিন আরোগ্য লাভ ন হইত ততদিনের নিমিত্ত চিকিৎসক ও পরিচারক নিযুক্ত করিয়া দিতেন। মহোদয় অবগত আছেন যে স্নানের পরে দীর্ঘ কেশ শুষ্ক হইতে বিলম্ব হইত এবং শুষ্ক না হইলে পীড়া জন্মিত সেই হেতু দয়ার সাগর বণিক ব্রাটু সাহেব দশম ঘটিকার পরিবর্তে র্তাহার কৰ্ম্মচারী মৃত মহাত্মা বিশ্বস্তুর মল্লিককে কেশ শুষ্ক করিয়া দ্বাদশ ঘটিকার পরে কার্য্যালয়ে উপস্থিত হইতে আদেশ করিয়া দিয়াছিলেন। এক্ষণে অধীন, প্রভূর কৰ্ম্ম নিৰ্ব্বাহ করিয়া, কঠিন পীড়ায় পীড়িত হইলে আধুনিক প্রভু মহাশয়ের ক্ৰক্ষেপ করেন না। মহোদয়! বলিব কি—এক্ষণকার প্রভুত্বের প্রলাপই বা কত ? দেখিয়াছি এক জন কৰ্ম্মচারী, প্রভুত্ব গরিমায় আলিপুরে উগ্র