পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8 ) এক্ষণে গ্রেট ইষ্টারণ হোটেল নামে খ্যাত হইয়াছে। যথায় সুপ্রিম কোর্ট ছিল, তৎপ্রদেশে হাইকোর্টের এক প্রশস্ত বিচারালয় নিৰ্মিত হইয়াছে; ক্যামকু স্ট্রীটে হেজারবন্তি নামে যে বনাকীর্ণ স্থান ছিল, উছকে মনোহর অট্টালিকা শ্রেণীতে সুশোভিত করিয়া ভিক্টেরিয়া স্কোয়্যার নাম প্রদত্ত হইয়াছে। মুরগীহটর ক্ষুদ্র পথ প্রশস্ত হইয়া ক্যানিং স্ট্রট নাম পাইয়াছে। গরাণ হাটার রাস্তার আয়তন বৃদ্ধি হইয়া বীডন স্ট্রীট নাম পাইয়া মাণিকতলাভিমুখে গিয়াছে। উহার দক্ষিণ ও চিৎপুর রাস্তার পূর্ব পাশ্বে বীডন স্কোয়্যার নামে এক মনোহর উদ্যান বাঙ্গালি মহাশয়গণের বিচরণার্থে প্রস্তুত হইয়াছে। প্রথমে তাছাতে সুগন্ধি-পুষ্প বৃক্ষ সংস্থাপিত হইয়াছিল, সে সকল স্থানান্তরিত করত এক্ষণে তথায় নির্গন্ধ-বিলাতী তৰু লতা, শোভ সম্পাদন করিতেছে । মলঙ্গার ওয়েলিংটন দীঘি, গ্রথিত হইয় জলের ছদ করা হইয়াছে। ভিতরে হ্রদ, উপরে মৃত্তিকাৱত বিচরণ স্থান । গঙ্গাতীরে একটী রাস্ত হইয়। আহিরী টোলার ঘাট হইতে আর্মানি ঘাটের সন্নিকটে আসিয়াছে। পটল ডাঙ্গার কলেজের সম্মুখে গোলদীঘি আর গোলাকার নাই, তাছ চতুষ্কোণ হইয়াছে । বোধ হয় বাঙ্গাল ব্যাঙ্কের নূতন অট্টালিকা মহাশয়ের দেখা হয় নাই, সেটাও নিতান্ত ক্ষুদ্র নহে। হিন্দু কলেজের প্রেসিডেন্সি কলেজ নাম প্রদত্ত হইয় এতকালের পর উহার একটা সুচাৰু অট্টালিকা বিনির্মিত হইয়াছে। হেযার সাহেবের স্কলের