পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २२ ] পাঠকের পল্লীগ্রামে কৃষক মণ্ডলীর মধ্যে যাবজ্জীবন অতিবাহিত করেন, র্তাহারাও গ্রন্থকারের লিখন প্রণালীর বিচার করিতে উদ্যত হয়েন ও কোন পুস্তককে সমাদর ও কোন পুস্তককে অনাদর করেন। অনেক পাঠকের ভাষা জ্ঞান নাই, উৎকৃষ্ট ভাষার পুস্তক অনুধাবন করিতে সক্ষম নহেন, তদৰ্থে যৎসামান্ত ভাষার পুস্তক, পড়িতে র্তাহারা অতিশয় ভাল বাসেন ; কৃষকসস্থানদিগের সহিত বাল্যকালে ক্রীড়া উপলক্ষে যে সকল ইতর শব্দ শুনিয়াছিলেন, এক্ষণে উল্লিখিত গ্রন্থে সেই সকল পূৰ্ব্ব পরিচিত শব্দ দেখিয়া তাহারা পুলকে পরিপূর্ণ হয়েন। আমরা শুনিয়াছি উক্তরূপ বীভৎসরুচি পাঠকেরা কখন কখন বলেন বিদ্যাসাগরের পুস্তকে কোপবেশ পরতন্ত্র, কিং কৰ্ত্তব্য বিমূঢ় প্রভৃতি কেবল ঢেঁকীর কচুকচি ; . রাগিয়া উঠিয়া লাফাইয়া পড়িয়া দৌড়িয়া গিয়া জড়াইয়া ধরিল ইত্যাদি কি সরল ভাষ৷! মাইকেলের যেরূপ রচনার প্রণালী, যে সে পাঠক কি শ্রোতা তাহার অর্থ সংগ্ৰহ করিতে সক্ষম নহেন। কিন্তু ঐরুপ পাঠক ও শ্রোতাগণের সেই রচনা পাঠ করিলে যে কি ভাবের উদয় হইয়। অশ্রুধারা বহিতে থাকে তাহ বলা যায় না। সেই অশ্রুবর্ষণ দেখিয়া আমার একটি আখ্যায়িকা স্মরণ হইল। এক দীর্ঘ শ্মশ্রীধারী যবন কোন ধৰ্ম্মশালায় বসিয়া প্রত্যহ প্রাতে প্রায় এক ঘণ্টা কাল পারস্ত পুস্তক হইতেঈশ্বর প্রসঙ্গ পাঠ করিতেন, তাহ শ্রবণ বাসনায় তথায় শতাধিক বালবৃদ্ধ বনিতার সমাগম হইত, সকলে সেই প্রসঙ্গ, ভক্তিভাবে শ্রবণ করিত। সেই শ্রোতা