পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৩ ] দিগের মধ্যে দশ বৎসর বয়ঃক্রমের দুইটী বালক তাহ শুনিতে শুনিতে অশ্রুবর্ষণ করিত। ধৰ্ম্ম যাজক তাহা দুই চারি দিন দেখিয়া” নিতান্ত বিস্ময়াপন্ন হইয়। ভাবিলেন এই বালকের আমার ধৰ্ম্ম পুস্তকের নিগূঢ় মৰ্ম্ম কি উপায়ে বুঝিতে পারিয়া ভক্তিভাবে অশ্রুবর্ষণ করে জিজ্ঞাসিতে হইল। পরে তাহাদিগকে ডাকিয়া যাজক জিজ্ঞাসিলেন তোমরা শিশু, আমার ধৰ্ম্ম পুস্তক পাঠের কি ভাব বুঝিয়া রোদন কর। তাহার প্রত্যুত্তর করিল মহাশয়ের পাঠ আমরা কিছুই বুঝিতে পারি না তবে কি জানেন, আমাদিগের একটা বৃহৎ শ্মশ্রীধারী ছাগ পশু ছিল । আপনি যে সময় শ্মশ্র বিকম্পিত করিয়া পাঠ করেন, তৎকালে আমাদিগের সেই ছাগ পশুর কথা স্মরণ হয়, সে তৃণ ভক্ষণ কালে অবিকল আপনার স্তায় শ্মশ্র মাড়িয়া তৃণ ভক্ষণ করিত। আহা ! অদ্য দুই মাস হইল তাহার মৃত্যু হইয়াছে। আপনার দাড়ী দোলান দেখিয়া আমাদিগের হৃদয়ে সেই ছাগ পশুর প্রতিমূৰ্ত্তির উদয় হয় ও তাহার মৃত্যুনিবন্ধন শোকে আমাদিগের অশ্র সম্বরণ হয় না। আমাদিগের রোদনের কারণ এই—অদ্য কিছুই নহে। মাইকেলের পুস্তক পড়িয়া অনেক পাঠক ও শ্রোতা বাবুর সেই যবন শিশুদিগের ন্যায় ভাবের উদ্রেক হইতে থাকে এবং তাহারা তদ্বারা আর্দ্র হইয়া পড়েন। ফলতঃ মাইকেলের যেরূপ রচনা প্রণালী তাহ পড়িয়া সহসা ভাবে বিমোহিত হওয়া প্রায় অনেকের পক্ষে সহজ ব্যাপার নহে । যে যে বিষয়ে জ্ঞানের অভাব আছে সেই সেই বিষয়