পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७२] বর্ণনা অনুবাদ করিয়া বঙ্গজাতীর তৃপ্ত জন্মাইতে পারেন না সৌগন্ধযুক্ত কুমুম কাননের বর্ণনা করিতে হইলে তাহাদিগকে ভারত রাজ্যের দিগে আদিতে হয়। সেই সময় কিছু বিলাতীয় কিছু ভারতীয় দুই ভাবে সংলগ্ন হইয়া যে এক মিশ্রময়ী ভাবের মূৰ্ত্তির আবির্ভাব হয়, তাহ অদ্ভূত মূৰ্ত্তি –না হরিহর না কৃষ্ণকালী না হরগোরী - গুণের ভাগ এই যে এক্ষণে বহুজন বঙ্গ ভাষাতে পুস্তক ও প্রবন্ধ লিখিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, ইহারা অপক্ষপাতী সমালোচকদিগের কটাক্ষ লক্ষ রাখিয়া রচনা কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতে প্রবৃত্ত হইলে উত্তরকালে ভাষার উন্নতি করিতে পারিবেন এমন প্রত্যাশা হইতেছে, কিন্তু অনেক আত্মীয়-রঞ্জন সমালোচক আছেন তাহাদিগের প্রতি নির্ভর করিলে লেখকেরা ভাষার উন্নতি পক্ষে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারিবেন না। পরমেশ্বরের করুণার সীমা নাই তিনি বঙ্গের সেই অপবিত্র অসরল অসংলগ্ন অব্যবস্থিত লেখকগণের রচনা প্রপীড়িত জনের মনোদুঃখ নিবারণার্থে পশ্চাল্লিখিত কএক জন পবিত্র সরল সংলগ্ন স্বাভাবিক ভাবসংযুক্ত জ্ঞানগৰ্ত্ত সন্দর্ভ রচয়িতার স্বষ্টি করিয়াছেন র্যাহাদিগের গুণসম্বন্ধে কিঞ্চিৎ নিবেদন করিতেছি । রাজা রামমোহন রায়, স্তার রাজা রাধাকান্তদেব বাৰু নীলরত্ব হালদার ও ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত অতিশয় প্রশংসিত লেখক ছিলেন ইহঁারদিগের রচনা শক্তির পরিচয় মহোদয় নরলোকে বিদ্যমান থাকিয়া পাইয়াছেন, সে সকল বিবরণ এক্ষণে উথপনের অনাবশ্রাক ।