পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రిని ] ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর আধুনিক মুসাধু বঙ্গ ভাষার জনক, তাহার লেখনী হইতে যেরূপ ভাষা নিঃস্থত হয় তদনুরূপ দ্বিতীয় কাহার লেখনী হইতে নিঃসরণ হয় না। বিদ্যাসাগর তাহার মধুময় রচনা রস বর্ষণ করিয়া কাহার হৃদয় না প্রফুল্ল করিয়াছেন ? অধুনাতন কালের যত সস্বাদ পত্র সম্পদক কিম্বা গ্রন্থরচয়িতা থাকুন বাবু রাজেন্দ্রলাল মিত্রের বিবিধার্থ সংগ্রহ পাঠ করিয়া যতদূর জ্ঞান উন্নত হয়, দ্বিতীয় আর কোন বাক্তির প্রবন্ধ পাঠ তাদৃশ জ্ঞান উন্নত করিতে পারক নহে। দক্ষিণ মজীলপুর নিবাসী হেমচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য বিদ্যাসাগর মহাশয়ের লেখার এতাদৃশ অনুকরণ করিয়াছেন যে স্থানে স্থানে অতি শয় মনঃসংযোগ করিয়া পড়িলেও তাহা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের লেখা নহে এমন অনুভব করা যায় না, উক্ত লেখার কএক পক্তি এখানে উত্থাপন করিতেছি “অরণি কাষ্ঠ যেমন অগ্নি উদগার করিয়া থাকে সেইরূপ তাহার (সীতার) নেত্ৰ হইতে বহুকাল সঞ্চিত অশ্রু উদগত হইল ; কমল দল হইতে যেমন নীরবিন্দু নিঃস্থত হয়, তদ্রুপ ঐ সময় স্ফটিক ধবল জলধারা দরদরিত ধারে প্রবাহিত হইতে লাগিল এবং প্রবল শোকানলে সেই বিশাললোচনার পূর্ণচন্দ্র সুন্দর বদনমণ্ডল বৃন্তচ্ছিন্ন পঙ্কজের দ্যায় একান্ত স্নান হইরা গেল । - ধৰ্ম্মশীলা সুমিত্রা কৌশল্যাকে বিলাপ করিতে দেখিয়া এইরূপ কহিয়াছিলেন স্বর্য র্তাহার (রামের) পবিত্রতা ও মাহাত্ম্য জ্ঞাত হইয়া কঠোর কিরণে র্তাহাকে পরির্তপ্ত করিতে সাহসী