পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ to ) এবং ভ্রমরের ঝঙ্কারে চতুর্দিক প্রতিশদিত হইলে আমি মাতার সহিত এই অচ্ছোদ সরোবরে স্নান করিতে আসিয়াছিলাম।” - “সথে একবার আমার কথার উত্তর দেও । একবার নয়ন উন্মীলন কর। আমি তোমার প্রফুল্ল মুখকমল একবার অবলোকন করিয়া, জন্মের মত বিদায় হই, আমার সহিত তোমার সেই অকৃত্রিম প্রণয় ও অকপট সৌহাৰ্দ্দ কোথায় গেল ? তোমার সেই অমৃতময় বাক্য ও স্নেহময় দৃষ্টি স্মরণ করিয়া আমার বক্ষঃস্থল বিদীর্ণ হইতেছে কপিঞ্জল আৰ্ত্তস্বরে মুক্তকণ্ঠে এইরূপ ও অন্যরূপ নানা প্রকার বিলাপ ও পরিতাপ করিতেছিলেন।” “প্রভাত সমীরণ মালতী কুসমের পরিমল গ্রহণ করিয়া, স্বপ্তোথিত মানবগণের মনে আহলাদ বিতরণ পূর্বক ইতস্ততঃ বহিতে লাগিল। প্রদীপের প্রভার আর প্রভাব রহিল না । পল্লবের অগ্র হইতে নিশার শিশির মুক্তার স্থায় ভূতলে পড়িতে লাগিল।” “চন্দ্রাপীড় নগরে আসিতেছেন শুনিয়া রমণীগণ অতিশয় উৎসুক হইল আপন আপন আরব্ধ কৰ্ম্ম সমাপন না করিয়াই কেহ বা অলক্তক পরিতে পরিতে কেহ বা কেশ বাধিতে বাধিতে বাটীর বহির্গত হইয়া কেহ বা প্রাসাদোপরি আরোহণ করিয়া এক দৃষ্টিতে পথ পানে চাহিয়া রহিল একবারে সোপান পরস্পরায় শত শত কামিনীজনের সসম্রাম পাদ নিঃক্ষেপ করায় প্রাসাদমধ্যে এক প্রকার অভূত পূৰ্ব্ব ও অশ্রুত পূৰ্ব্ব ভূষণ শব্দ সমুৎপন্ন হইল, গবাক্ষ জালের নিকটে কামিনীগণের মুখ পরম্পরা